Shiv Sena: জোর ধাক্কা! উদ্ধবের সঙ্গ ছেড়ে শিন্ডের হাত ধরলেন ঠাকরে পরিবারের সদস্য
Maharashtra: রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের আত্মীয়দের মধ্যে কোনও ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও এই সিদ্ধান্ত উদ্ধবের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুম্বই: মহারাষ্ট্রের গদি থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একমাসের মধ্যে পারিবারিকভাবে ধাক্কা খেলেন শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে। একের পর এক বিধায়ক-সাংসদের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবিরে নাম লেখেন উদ্ধব ঠাকরের ভাইপো নীহার ঠাকরে। এর আগে রাজনৈতিকভাবে নীহার তেমন সক্রিয় ছিলেন না। রাজ্যের মসনদ হাতাছাড়া হওয়ার পর দলের রাশ হাতে রাখতে মরিয়া উদ্ধবের জন্য নীহারের শিবির বদল নিঃসন্দেহে ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করে তাঁর প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন নীহার। গত বছর ডিসেম্বর মাসে পেশায় আইনজীবী নীহার বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন পাটিলের মেয়ে অঙ্কিতা পাটিলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল।
রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের আত্মীয়দের মধ্যে কোনও ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও এই সিদ্ধান্ত উদ্ধবের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যের মসনদের পর দলের রাশ নিয়ে শিবসেনার দুই শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। শিন্ডের শিবির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার পর পাল্টা উদ্ধব শিবিরের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের ৩ পুত্রের মধ্যে জেষ্ঠ্যপুত্র বিন্দুমাধব ঠাকরে ছেলে নীহার। ১৯৯৬ সালের এক পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন বিন্দুমাধব। বিন্দুমাধব পেশায় হিন্দি সিনেমার প্রযোজক ছিলেন এবং তিনি নিজে কখনও রাজনীতিতে আগ্রহী ছিলেন। তাঁর ছেলের একনাথ শিবিরে যোগদান তাৎপর্যপূর্ণ। বাল ঠাকরের কনিষ্ঠ পুত্র জয়দেল ঠাকরের প্রাক্তন স্ত্রী স্মিতা ঠাকরেও সম্পতি মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছেন।
উল্লেখ্য, দলের রাশ কার হাতে থাকবে, সেই নিয়ে একনাথ ও উদ্ধবের মধ্য টানাপোড়েন চলছে। শিন্ডে শিবিরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৮ অগস্টের মধ্যে দু’পক্ষকে নিজেদের দাবির সপক্ষে নথি জমা দিতে বলেছে কমিশন। অন্যদিকে ১৬ বিধায়করে সদস্যপদ খারিজ মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ার অবধি কমিশন একতরফাভাবে কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সেই দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে উদ্ধব শিবির। আগামী দিনে দল নিয়ে টানাপোড়েন নতুন কোনও দিকে মোড় নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।