Uniform Civil Code: ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের মধ্যে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল
Uniform Civil Code: বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি বিধায়কদের 'জয় শ্রী রাম' স্লোগানের মধ্যে বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। গত রবিবারই, এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছিল ধামি মন্ত্রিসভা। এবার, বিধানসভায় বিলটি পাশ হলে, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে।
দেরাদুন: মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় পেশ করা হল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল। এই বিল পেশের জন্যই উত্তরাখণ্ড বিধানসভার এক বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বিজেপি বিধায়কদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের মধ্যে বিলটি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। গত রবিবারই, এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছিল ধামি মন্ত্রিসভা। এবার, বিধানসভায় বিলটি পাশ হলে, দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। গোয়ার অবশ্য, সেই পর্তুগিজ আমল থেকেই এই বিধি চালু রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে এই বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ক্ষমতায় ফেরার পরই রাজ্যে এই আইন চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের পথ, এদিন অনেকটাই এগিয়ে গেল রাজ্যের বিজেপি সরকার।
এদিন, ভারতের সংবিধানেরএকটি প্রতিলিপি হাতে নিয়ে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে বর হন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের নাগরিকদের সমান অধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে, আজ বিধানসভায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল পেশ করা হবে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে আমরা পরিচিত হব। এটা রাজ্যের সকল মানুষের জন্য গর্বের মুহূর্ত।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রিপোর্ট হাতে বিধানসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। উত্তরাখণ্ড থেকে দেশের নাগরিকদের সমান অধিকার দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে।”
২০২২-এর ২৭ মে, সুপ্রিম কোর্চের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনপ্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছিল ধামি সরকার। এই বিধি তৈরি এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়, সেই সব দিক খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এই কমিটির। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি তাদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর, ২৯ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। সূত্রের মতে, এই বিলে মৃত্যুর পর সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার সমান অধিকার, বৈধ ও অবৈধ সন্তানের সমান অধিকার, দত্তক নেওয়া এবং জৈবিকভাবে জন্ম নেওয়া সন্তানদের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত ধর্মের মেয়েদের বিয়ের একটিই বয়স, সমস্ত ধর্মের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের একই ধরনের ভিত্তি এবং পদ্ধতি প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে।