Defamation Case: রিটুইট বা রিপোস্ট করলেও হতে পারে মানহানির মামলা! সাবধান করল হাইকোর্ট
Delhi High Court: যদি কারও মানহানিকর কোনও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট আপনি রিটুইট বা রিপোস্ট করেন, তাহলে ভুগতে হতে পারে আপনাকেও। রিটুইট করার জন্য মানহানির মামলা হতে পারে আপনার বিরুদ্ধেও। গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে এক মামলায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
নয়াদিল্লি: অন্য কেউ টুইট করেছে, আপনি সেটা রিটুইট বা রিপোস্ট করে দিয়ে নিশ্চিন্তে রয়েছেন? ভাবছেন, আপনি তো শুধু রিপোস্টই করেছেন। আসলে তো অন্য কারও টুইট। আপনার কীসের মাথাব্যথা? ভুল ভাবছেন। যদি কারও মানহানিকর কোনও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট আপনি রিটুইট বা রিপোস্ট করেন, তাহলে ভুগতে হতে পারে আপনাকেও। রিটুইট করার জন্য মানহানির মামলা হতে পারে আপনার বিরুদ্ধেও। গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে এক মামলায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
ইউটিউবার ধ্রুব রাঠের একটি ভিডিয়ো রিটুইট করার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বিকাশ পান্ডে নামে এক ব্যক্তি। ওই মানহানির মামলা যাতে খারিজ হয়ে যায়, সেই আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন কেজরীবাল। কিন্তু কেজরীবালের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা। বিচারপতি বলেছেন, রিটুইট করা মানহানির সামিল কি না, সে বিষয়ে আইনি কিছুটা ফাঁক রয়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে এটিকে উপেক্ষা করাও যায় না। মানহানিকর কোনও পোস্ট রিটুইট করা হলে, সেটি ওই মানহানিকর অভিযোগকে আরও বড় করে তুলতে পারে এবং তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির খ্যাতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
একইসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্ট এও বলেছে, যখন কোনও মানুষের টুইটারে অনেক ফলোয়ার রয়েছে, তখন ওই ব্যক্তি কিছু রিটুইট করলে, তাঁরা ফলোয়াররা মনে করতেই পারেন মূল টুইটটিতে তাঁর সমর্থন রয়েছে। তাই যদি কোনও ব্যক্তি ডিসক্লেইমার ছাড়া এই ধরনের কিছু রিটুইট করেন, তাহলে মানহানিকর কনটেন্ট রিটুইট করার জন্য, তিনি নিজেই নিজের দিকে আইনি পদক্ষেপ ডেকে আনবেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘যদি রিটুইট বা রিপোস্টকে অপব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে এটি মানহানিকর কনটেন্ট রিপোস্ট করতে উৎসাহিত করবে। রিটুইট করার সঙ্গে অবশ্যই দায়িত্ববোধ থাকতে হবে।’