Qutub Minar: কুতুব মিনার চত্বরে কোনও খননকার্যের নির্দেশ দেওয়া হয়নি, জল্পনা ওড়ালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী
Qutub Minar Complex: এমনও গুজব ছড়িয়েছিল যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এই খননের কাজ চালাবে এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। সেই সমস্ত দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।
নয়াদিল্লি: বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল, যাতে বলা হয়েছিল কুতুব মিনার চত্বরে খননকার্য হতে পারে। কিন্তু সেই দাবি রবিবার খারিজ করে দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কে রে়ড্ডি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খনন কার্য সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনগুলিকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রবিবার সূত্রের দাবি উদ্ধৃত করে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম উল্লেখ করেছিল, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক কুতুব মিনারে মূর্তির আইকনোগ্রাফির জন্য নির্দেশ দিয়েছে এবং এর জন্য খননকার্য শুরু হবে। এমনকী এমনও গুজব ছড়িয়েছিল যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এই খননের কাজ চালাবে এবং সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। সেই সমস্ত দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কে রেড্ডি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, শনিবার কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দ মোহন কুতুব মিনার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এরপরই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, কুতুব মিনার কে নির্মাণ করেছিলেন, কুতুবউদ্দিন আইবক নাকি চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য? তা খতিয়ে দেখতে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে খনন করতে বলা হয়েছে। সেই সংবাদ প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে সংস্কৃতি মন্ত্রকের থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কৃতি সচিবের কুতুব মিনারে যাওয়া ছিল কেবলই নিয়মমাফিক পরিদর্শন। তাঁর পরদর্শনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, দিল্লির একটি আদালত গত মাসে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে নির্দেশ দিয়েছিল যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কুতুব মিনার চত্বর থেকে গণেশের দুটি মূর্তি না সরাতে। আদালতে জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভ দেবের হয়ে আদালতে মামলা করেছেন আইনজীবী হরি শংকর জৈন। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, ওই আইনজীবী বলেছিলেন, গণেশ মূর্তি দুটি অনাদিকাল থেকে ওই প্রাঙ্গনে ছিল এবং তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া সম্ভবত সেগুলিকে কেবল নিদর্শন হিসাবে যাদুঘরে সরিয়ে নিয়ে যাবে। ২৪ মে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত সর্বশেষ শুনানিতে কেন্দ্র ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে মামলাকারীর দাবির ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছে।