Dharmendra Pradhan: জেএনইউ শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়, একটি সংস্কৃতি: ধর্মেন্দ্র প্রধান
জেএনইউ-কে ভারতের গণতন্ত্রের শিকড় নিয়ে গবেষণা করারও আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
নয়া দিল্লি: বিশ্বের অন্যতম বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU)। শুক্রবার জেএনইউ-এর ষষ্ঠ কনভোকেশন অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “JNU মানে বৈচিত্র্য, সংবেদনশীলতা, অন্তর্ভুক্তি, সমতা, গুণমান এবং সামর্থ্য। জেএনইউ শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, একটি সংস্কৃতি। তাই এখান থেকে পাশ করে বেরোনো ছাত্ররা সামাজিক জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
গত কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কের কেন্দ্রে নাম উঠেছে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU)। তবে JNU-ই ভারতের DNA বলে দাবি শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের। তিনি বলেন, “মতানৈক্যই প্রধান চুক্তি, এটাই ভারতের DNA। মতবিরোধ এবং বিতর্কে সবাইকে স্বাগত জানাই।” JNU একটি অনন্য সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে দাবি জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, “সমস্ত প্রেক্ষাপটের ছাত্রদের শ্রেষ্ঠত্বের যে একই সুযোগ দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করে একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে JNU। এখানে সিনিয়র, শিক্ষক এবং সহকর্মীরা সবাই মিলে ছাত্রদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ নিশ্চিত করে।”
বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হল ভারত। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভারত বৃহত্তম গণতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রের জননী।” তাই জেএনইউ-কে ভারতের গণতন্ত্রের শিকড় নিয়ে গবেষণা করারও আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রীর কথায়, “JNU-এর ছাত্রদের উপর ১৩০ কোটি ভারতীয়ের আস্থা রয়েছে। জেএনইউ-এর ছাত্ররা বিশ্ব নাগরিক হতে চলেছে।”