Delhi Pollution: ‘দিল্লি যেন গ্য়াস চেম্বার’, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেই প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেললেন কেজরী

Delhi Air Quality: কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শাসকদল আম আদমি পার্টিকেই তিনি দুষেছেন এই দূষণের জন্য। রাতারাতি দিল্লিকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

Delhi Pollution: 'দিল্লি যেন গ্য়াস চেম্বার', কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগ তুলতেই প্রধানমন্ত্রীর কোর্টে বল ঠেললেন কেজরী
দিল্লির দূষণ নিয়ে শুরু তরজা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2022 | 7:50 AM

নয়া দিল্লি: সকালে সূর্যোদয় হোক বা বিকালে সূর্যাস্ত, সাদা ধোঁয়ার আস্তরণে সূর্যের দেখা মেলাই ভার। দীপাবলি কেটে গেলেও, দূষণ কমার নাম নেই রাজধানী দিল্লিতে। বরং দিন-প্রতিদিন দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলগুলিও। দিল্লির এই ভয়াবহ পরিবেশ নিয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব। দিল্লিকে গ্যাস চেম্বার বলে অ্যাখ্যা দিলেন তিনি। এ দিকে চুপ করে থাকার পাত্র নন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে কেজরীবাল বললেন, “শীতের শুরুতে গোটা উত্তর ভারত জুড়েই বায়ুদূষণের সমস্যা দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করছেন না কেন?”

বুধবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপিন্দর যাদব দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে টুইটে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শাসকদল আম আদমি পার্টিকেই তিনি দুষেছেন এই দূষণের জন্য। রাতারাতি দিল্লিকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এটিও একটি দুর্নীতি বলে অভিযোগ করেন। টুইটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, “আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপ সরকার শাসিত একটি রাজ্যে ২০২১ সালের তুলনায় চলতি বছরে খড়কুটো পোড়ানোর হার ১৯ শতাংশ বেড়েছে। সেখানেই হরিয়ানায় চাষের জমির অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর হার ৩০.৬ শতাংশ কমেছে। শুধুমাত্র আজকেই পঞ্জাবে ৩৬৩৪টি ক্ষেতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। দিল্লি যে গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।”

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “যেখানে আপ, সেখানেই দুর্নীতি। বিগত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ১৩৪৭ কোটি টাকা দিয়েছে পঞ্জাবকে ক্রপ রেসিডিউ ম্য়ানেজমেন্ট মেশিন কেনার জন্য। রাজ্যে মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার মেশিন কেনা হয়েছে, তার মধ্যে ১১ হাজার ২৭৫টি মেশিন উধাও। টাকা খরচ দেখেই স্পষ্টভাবে আর্থিক বেনিয়ম বোঝা যাচ্ছে। গত বছর ২১২ কোটি টাকা অব্যবহৃত হয়ে পড়েছিল। এই বছর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ফের ২৮০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল মেশিন কেনার জন্য। সুতরাং প্রায় ৪৯২ কোটি টাকা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য় সরকার চুপচাপ বসে রয়েছে, যার ফলে অসহায় কৃষকরা চাষের অবশিষ্ট খড়-কুটো জ্বালিয়ে দিতেই বাধ্য হয়েছেন।”

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ ও প্রশ্নবাণের পরই পাল্টা জবাব দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বলেন, “দূষণ গোটা উত্তর ভারতের সমস্যা। উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, সমস্ত রাজ্যেই বাতাসের গুণমান প্রায় এক। শুধু কি দিল্লি-পঞ্জাব গোটা দেশে দূষণ ছড়িয়েছে? প্রধানমন্ত্রী কেন এই বিষয়ে সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক ডাকছেন না?”

কেজরীবাল আরও বলেন, “কেন্দ্র কৃষকদের সাহায্য করছে না, কেবল তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ই দায়ের করছে। আমরা খড়কুড়ো পোড়ানো নিয়ন্ত্রণের জন্য যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে শুধু রাজনীতি চলছে, কেউ সমাধান নিয়ে কথা বলছে না।”