‘দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার একমাত্র দাওয়াই টিকাকরণই’, তৃতীয় ঢেউ এড়াতে বিশেষ পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর
Finance Minister Nirmala Sitharaman on Economy and COVID Vaccination: অর্থমন্ত্রী বলেন, "দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি বিনা বাধায় এগোচ্ছে। এখনও অবধি মোট ৭৩ কোটি মানুষ বিনামূল্যে করোনা টিকা নিয়েছেন। টিকাকরণ কর্মসূচির মাধ্যমেই আজ মানুষ ব্য়বসা বাণিজ্য করতে পারছে, ফলে দেশের অর্থনীতিরও হাল ফিরছে।"
তুতিকোরিন: করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এগিয়েই চলেছে দেশ। ইতিমধ্যেই দেশের ৭৩ কোটি মানুষ করোনা টিকা (COVID-19 Vaccine) পেয়ে গিয়েছেন। ডিসেম্বরের মধ্যেই সকল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। সেই টিকাকরণ কর্মসূচিকেই আরও শক্তি জোগাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) বললেন, “দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলার একমাত্র ওষুধ হল টিকাকরণ।”
রবিবার তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে তামিলনাড মেরক্যান্টাইল ব্য়াঙ্কের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানেই অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে করোনা টিকাকরণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া প্রয়োজন, কারণ টিকাকরণ সম্পূর্ণ হলেই সমস্ত ব্যবসা বাণিজ্য আগের ছন্দে ফিরতে পারবেস কৃষকরাও তাদের কৃষিকাজ স্বাভানিক নিয়মে শুরু করতে পারবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি বিনা বাধায় এগোচ্ছে। এখনও অবধি মোট ৭৩ কোটি মানুষ বিনামূল্যে করোনা টিকা নিয়েছেন। টিকাকরণ কর্মসূচির মাধ্যমেই আজ মানুষ ব্য়বসা বাণিজ্য করতে পারছে, ফলে দেশের অর্থনীতিরও হাল ফিরছে। কৃষকরা কৃষিকাজে মন লাগাতে পারছেন। সুতরাং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে টিকাকরণই একমাত্র ওষুধ।”
রবিবারই তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মেগা ভ্যাকসিনেশন ক্য়াম্পের মাধ্যমে দৈনিক ২০ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরজন্য রাজ্য়জুড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।
উৎসবের মরশুমেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে, এই সম্ভাবনা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা সকলেই প্রার্থনা করছি যে তৃতীয় ঢেউ যেন না আসে। যদি আগামিদিনে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে, তবে আমাদের ভাবতে হবে কত হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত, হাসপাতাল পাওয়া গেলেও সেখানে আইসিইউ রয়েছে কিনা, বা আইসিইউ থাকলেও সেখানে অক্সিজেন ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তা আমাদের দেখতে হবে। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে, যার অধীনে হাসপাতালের পরিকাঠামোর ব্যপক উন্নয়ন করা সম্ভব।”
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, অর্থমন্ত্রকের এই প্রকল্পের সাহায্য়ে গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে এই পরিকাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘শাহি’ উপস্থিতিতে আজই শপথ নেবেন গুজরাটের নয়া মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভাতেও কি আসবে বদল?