Children’s Mental Health: ‘শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বুঝতে হবে শিক্ষকদেরও’, বিশেষ প্রশিক্ষণের পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

Union Health Minister on Children's Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, "মানসিক স্বাস্থ্য কিন্তু আজকের বিষয় নয়, বহুযুগ ধরেই এটি নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা চলছে। তবে ভারতের মতো দেশে মানসিক নানা সমস্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।"

Children's Mental Health: 'শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বুঝতে হবে শিক্ষকদেরও', বিশেষ প্রশিক্ষণের পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 11:38 AM

নয়া দিল্লি: করোনার (COVID-19) প্রভাব কেবল শরীরে নয়, মানসিক স্বাস্থ্য়েও প্রকটভাবে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে গৃহবন্দি থেকে কেবল প্রাপ্তবয়স্করাই নয়, শিশুদের মনেও গভীর প্রভাব পড়েছে। মঙ্গলবার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য (Children’s Mental Health) নিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানালেন, শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বোঝার জন্য় শিক্ষকদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত, যাতে তারা প্রথমেই বিপদ বুঝতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসা বা কাউন্সেলিং করানো সম্ভব হয়।

ইউনিসেফ(UNICEF)-র একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষক প্রশিক্ষণের পাঠ্যসূচিতে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পাঠ যোগ করা প্রয়োজন। একইসঙ্গে পরিবারকেও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। তারা যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে এবং নিজেদের ছোট ছোট সমস্যাও পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে, বাড়িতে সেই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।”

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিজের আক্রান্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে জানান, করোনা সংক্রমণের জেরে গোটা সমাজেরই মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়েছিল। কঠিন সময়ে আমায় যোগাসন, গভীর শ্বাস ও সাইকেল চালানো বিশেষ সাহায্য করেছিল।

মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্য কিন্তু আজকের বিষয় নয়, বহুযুগ ধরেই এটি নিয়ে গবেষণা, চিকিৎসা চলছে। তবে ভারতের মতো দেশে মানসিক নানা সমস্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।” নিজের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানান, তিনি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন। সেই সময়ে ইন্টারনেটেরও এত চল না থাকায় তখন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই সকলে কথা বলত। ছোটখাটো মন খারাপও কারোর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যেত এবং প্রয়োজনে অভিভাবকদের পরামর্শও নেওয়া যেত।

বর্তমানের নিউক্লিয়ার পরিবারের সংস্কৃতিই বাচ্চাদের মধ্যে মানসিক অশান্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে খুব কম সময়ই পরিবারের বড়রা শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু একটা সুস্থ পরিবারের জন্য পরিবারের সকল সদস্যদের একজোট হওয়া উচিত এবং অভিভাবকদের সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মেলামেশা করা উচিত। এতে একটি খোলামোলা পরিবেশ তৈরি হবে, যে শিশুরাও নিজেদের চিন্তাভাবনা স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারবে। অভিভাবকদেরও উচিত শিশুর আচরণে ছোট ছোট পরিবর্তন লক্ষ্য করা।”

শিশুদের মানসিক বিকাশে শিক্ষকরাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি বলেন, “শিক্ষকদের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সমস্যা নিয়ে আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। কীভাবে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বোঝা যায়, তা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অংশ হওয়া উচিত। শিক্ষকদের সঙ্গেই যেহেতু শিশুরা দিনের একটা বড় অংশ কাটায়, তাই তারা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বুঝতে পারলে প্রয়োজনে মানোবিদের কাছেও পাঠাতে পারবেন কাউন্সেলিং বা চিকিৎসার জন্য।”

সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য বলেন, “পরীক্ষার্থীদের উপর থেকে মানসিক চাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীজী নিজে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠান চালু করেছেন। তিনি মন কি বাত অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও নিয়মিত স্কুল পড়ুয়াদের জীবনের নানা পাঠ দেন। এই ধরনের ছোট ছোট পদক্ষেপও শিশুদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে কাজ করে।”

আরও পড়ুন: Covaxin: আর বেশিদিন অপেক্ষা নয়, আগামী সপ্তাহেই হবে কোভ্যাক্সিনের ভাগ্য নির্ধারণ, জানাল হু