Omicron: ডেল্টার থেকে তিন গুণ দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন, স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্টে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের

Union Health Secretary Rajesh Bhushan: ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন রাজেশ ভূষণ।

Omicron: ডেল্টার থেকে তিন গুণ দ্রুত ছড়ায় ওমিক্রন, স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্টে জোর দিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের
বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2021 | 8:34 PM

নয়া দিল্লি: ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে এবার আরও সতর্ক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট তিন গুণ দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ ইতিমধ্য়েই সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করেছেন। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে বলে রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে লিখেছেন রাজেশ ভূষণ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ তাঁর চিঠিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্ট জ়োনের উপর জোর দিয়েছেন। লিখেছেন,জেলা স্তরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েছে এমন এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জোম করা যেতে পারে। কন্টেনমেন্ট জোনের পরিধি কতটা হবে, তা আক্রান্তের পরিসংখ্যান থেকে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

রাজেশ ভূষণ একটি কাঠামোও তৈরি করে দেন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব বলেন, যদি কোনও জেলায় গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বা তার বেশি পজিটিভিটি রিপোর্ট ধরা পড়ে বা যদি অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন কিংবা আইসিইউ বেডের ব্য়বহার চল্লিশ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে যায়, তবে রাজ্যগুলি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার থেকে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। এছাড়া, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে।” রাজেশ ভূষণের বক্তব্য, স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে আরও বৃহত্তর দূরদর্শিতা, ডেটা অ্যানালিসিস, তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

চলতি মাসের শুরুতেই দেশের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। আর এর মধ্যেই সেই সংক্রমণ ২০০-র গণ্ডি পার করে গিয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর কর্নাটকে বিদেশ ফেরত এক যাত্রীর শরীরে প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপরই মহারাষ্ট্র, কেরল, দিল্লি হয়ে মোট ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেই সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দুই রাজ্যেই বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। এছাড়া তেলঙ্গনায় ২০ জন, কর্নাটকে ১৯ জন, রাজস্থানে ১৮ জন, কেরলে ১৫ জন ও গুজরাটে ১৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাজডু, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গেও একজন করে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ওমিক্রন পরিস্থিতি ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো পর্যালোচনা করে রাজ্যসভায় বলেন, “ভারত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত। আগামী দুই মাসের মধ্যেই দেশের টিকা উৎপাদন বাড়িয়ে ৪৫ কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।” তিনি জানান, যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে ওষুধ ও অক্সিজেন মজুত করে রাখা হয়েছে এবং সরবরাহের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া  ৪৮ হাজার ভেন্টিলেটর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : Derek O’Brien: রুলবুক ছুড়ে ফেলার অভিযোগ, রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড ডেরেক