‘মহারাষ্ট্রে কি নির্বাচন হচ্ছে?’ করোনা বৃদ্ধিতে নির্বাচনী প্রচারকে দোষ দিতে নারাজ শাহ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশ্ন, "মহারাষ্ট্রে কি নির্বাচন হচ্ছে? সেখানে দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক ৪০০০ আক্রান্ত হচ্ছেন।"

'মহারাষ্ট্রে কি নির্বাচন হচ্ছে?' করোনা বৃদ্ধিতে নির্বাচনী প্রচারকে দোষ দিতে নারাজ শাহ
নির্বাচনী প্রচারে অমিত শাহ। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 18, 2021 | 1:21 PM

নয়া দিল্লি: দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ মহল দায়ী করেছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারকেই। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, নির্বাচনের সঙ্গে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।

২৭ মার্চ থেকে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়। চার রাজ্যে নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও তিন দফা নির্বাচন বাকি। এ দিকে, দেশে ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচনগুলি দায়ী কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রে কি নির্বাচন হচ্ছে? সেখানে দৈনিক ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক ৪০০০ আক্রান্ত হচ্ছেন। আমি দুই রাজ্যের জন্যই সমান উদ্বিগ্ন।”

তিনি বলেন, “শুধু ভারতেই নয়, বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষকরা এই বিষয়টি নিয়ে নানান গবেষণা করছেন। এই বিষয়ে আন্দাজে কথা বলা উচিত নয়।”

গতবছরের তুলনায় এই বছর সংক্রমণের হার বেশি হলেও লকডাউন করা হচ্ছে না কেন, এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গতবছরের লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা ছিল এবং এর উদ্দেশ্যও ভিন্ন ছিল। সেই সময় আমাদের কাছে কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ছিল না, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোও ছিল না। তবে বর্তমানের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান তিনি।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আগে থেকে সতর্ক করা হয়েছিল কিনা, জানতে চাওয়া হলে অমিত শাহ বলেন, “দুইবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আমিও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। এইবার সংক্রমণের গতি অনেক বেশি এবং মিউটেশনের ফলে লড়াইটাও কঠিন হয়ে উঠেছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে গতবারের মতোই এই লড়াইয়েও আমরা জয়ী হব।”

চলতি মাস থেকেই মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করেছে। সেই দাবিও উড়িয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেন, “আমাদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত। প্রথম ১০ দিনেই যে সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তা সর্বোচ্চ। প্রথম টিকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের অন্তর তো রাখতেই হবে।”

আরও পড়ুন: ২৪ হাজারের গণ্ডি পার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, ফের জরুরি বৈঠকের ডাক কেজরীবালের