North-East Stability: উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি এবং রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি দাবি জানান, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন কেবল তাদের 'মৌখিক সহানুভূতি' নয়।

North-East Stability: উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি এবং রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি. কিষাণ রেড্ডি। ছবি সৌজন্য: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2022 | 4:57 PM

নয়া দিল্লি: নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি এবং রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে। সোমবার লোকসভায় এমনই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন লোকসভায়।

মূলত তাওয়াং ইস্যুতে এদিন সকাল থেকেই সরগরম ছিল সংসদের দুই কক্ষ। সেই প্রসঙ্গেই লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। তারই জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি দাবি জানান, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। তিনি আরও বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন কেবল তাদের ‘মৌখিক সহানুভূতি’ নয়। শুধু উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নয়, গত ৮ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নেতৃত্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রয়েছে বলেও দাবি জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। লাদাখের গালওয়ানের মতো অরুণাচল প্রদেশর তাওয়াং সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে চিনা সেনা। ইতিমধ্যে দু-বার পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষ বাধে। যদিও চাপে পড়ে পিছু হটে লালফৌজ। তবে ঘটনাটি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুই দেশ। চিনা বাহিনীর যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যে তাওয়াং সীমান্তে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। অ্যাপাচে, রাফালের মতো যুদ্ধবিমান পৌঁছেছে। সবমিলিয়ে,বর্তমানে যুদ্ধ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাওয়াংয়ে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা এদিন সংসদে আলোচনার দাবি জানালে সেটা এড়িয়ে যায় কেন্দ্র। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। কংগ্রেস, তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরা রাজ্যসভা ওয়াকরআউট করে। লোকসভাতেও মুলতুবি প্রস্তাব দেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।