Dharmendra Pradhan: ‘২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে শীর্ষে নিয়ে যাব’, অঙ্গীকার ধর্মেন্দ্র প্রধানের

Mera Maati Mera Desh: 'ভারত মাতা কি জয়' শ্লোগান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পড়ুয়া-সহ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা সহ সমস্ত অতিথিদের ৫টি শপথবাক্য পাঠ করান।

Dharmendra Pradhan: '২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে শীর্ষে নিয়ে যাব', অঙ্গীকার ধর্মেন্দ্র প্রধানের
আইআইটি ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2023 | 9:43 PM

ভুবনেশ্বর: বহু প্রাণের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা মিলেছে। তাই স্বাধীনতার অমৃতকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মাটি সংগ্রহ করে নয়া দিল্লির কর্তব্যপথে ‘ওয়ার মেমোরিয়ালে’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই উপলক্ষ্যে ‘মেরা মাটি মেরা দেশ’ (Mera Maati Mera Desh) কর্মসূচির সূচনা করেছে সরকার। সোমবার আইআইটি ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত হল এই বিশেষ অনুষ্ঠান। আর এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি কেবল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ‘মেরা মাটি মেরা দেশ’ কর্মসূচি অনুষ্ঠান পরিচালিত করেননি, আইআইটি ভুবনেশ্বরের (IIT Bhubaneshwar) ছাত্রদের বিশেষ সংকল্পও করান।

এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে আইআইটি ভুবনেশ্বরের পড়ুয়ারা সম্মিলিতভাবে গেরুয়া ও সবুজ পোশাক পরে মাঠের মধ্যে এমনভাবে দাঁড়ান যে, তাঁদের মধ্য দিয়ে দেশের মানচিত্র ফুটে ওঠে। এরপর ‘ভারত মাতা কি জয়’ শ্লোগান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পড়ুয়া-সহ ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা সহ সমস্ত অতিথিদের ৫টি শপথবাক্য পাঠ করান। সেগুলি হল, ১) ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে আত্মনির্ভর ও উন্নত করার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করব। ২) দাসত্বের মানসিকতাকে শিকড় থেকে উৎখাত করব। ৩) দেশের সামগ্রিক বিকাশে গর্বিত হব। ৪) ভারতের একতাকে সুদৃঢ় করব ও দেশের রক্ষাকর্তাদের সম্মান করব। ৫) নাগরিক হিসাবে সমস্ত কর্তব্য পালন করব।

এদিন ‘মেরা মাটি মেরা দেশ’ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি ৭৫টি বৃক্ষ রোপণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ‘মেরা মাটি মেরা দেশ’ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের ভিতর বিশেষ শোভাযাত্রা করার জন্য আইআইটি ভুবনেশ্বর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তিনি। সেই শোভাযাত্রায় আইআইটি ভুবনেশ্বরের সমস্ত পড়ুয়া, তাঁদের পরিবার, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা-সহ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যাঙ্ক, আধাসেনা, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের আধিকারিকদের অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। এদিনের অনুষ্ঠানে ইসরোর চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ তুলে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “দু-দিন আগে দেশের বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-২ -এর মাধ্যমে দেশের গৌরব বেড়েছে। ভারত চাঁদমামাকে আপণ করে নিয়েছে।” আবার ক্রীড়াক্ষেত্রে নীরজ চোপড়া বিশ্ব অ্যাথলিট চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। দেশের সীমান্ত রক্ষায় সেনাদের ভূমিকারও বিশেষ প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অঙ্গীকার, “জ্ঞানের নিরিখে আমরা নতুন পরম্পরার সূচনা করব, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে শীর্ষে নিয়ে যাব।”