Dowry: বিয়েতে দেরি! প্রচুর পণ চাওয়ায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ ছেলের

Uttar Pradesh: ১২ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা বিয়ে করতে চান। কিন্তু তাঁর বাবা-মা এত বেশি টাকা পণ চাইছে, তা তাঁর প্রেমিকার দিতে পারছে না। তাই তাঁর বিয়েতে দেরি হচ্ছে।

Dowry: বিয়েতে দেরি! প্রচুর পণ চাওয়ায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ ছেলের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 5:22 PM

মেরঠ: বিয়ে করতে চান প্রেমিকাকে। কিন্তু বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাবা-মায়ের পণের চাহিদা। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল প্রেমিকার পরিবার বিপুল অঙ্কের পণের টাকা দিতে পারছেন না। তাই তাঁর বিয়েতে দেরি হচ্ছে। বিয়ে না করতে পেরে হতাশায় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক যুবক। পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে ‘প্রচুর পণ’ চাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও এফআইআর দায়ের না হলেও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে পণ নেওয়ার অভিযোগ করা ওই যুবকের নাম যোগেশ কুমার। তাঁর বয়স ৩১ বছর। তিনি মঙ্গলবার গিয়েছিলেন মেরঠের পুলিশ সুপার প্রভাকর চৌধুরীর অফিসে। ওই পুলিশ অফিসারকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর প্রেমিকার বয়স ২৬ বছর। ১২ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা বিয়ে করতে চান। কিন্তু তাঁর বাবা-মা এত বেশি টাকা পণ চাইছে, তা তাঁর প্রেমিকার দিতে পারছে না। তাই তাঁর বিয়েতে দেরি হচ্ছে। তাঁর প্রেমিকার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা সচ্ছ্বল নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

যোগেশ পুলিশকে আরও জানিয়েছে, তিনি স্থানীয় ডেকরেটার্সের কাজ করেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁরা পাঁচ ভাই। তিনি সবথেকে বড়। তাঁর বাকি ভাইদের বিয়ে বাবা-মা দিয়েছেন। কিন্তু পণের জন্য তাঁর বিয়েতে রাজি হচ্ছেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, পণের টাকা ছাড়াও তাঁর বাবা মা বাড়ির অনেক জিনিসপত্রও পণ হিসাব দাবি করেছেন। তাঁকে ও তাঁর প্রেমিকাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও পরিবারের লোকের বিরুদ্ধে করেছেন ওই যুবক।

এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে যোগেশ বলেছেন, “আমি কোর্টে বিয়ে করতে পারি। প্রেমিকাকে নিয়ে আগেই পালিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু বাড়িতে আমার ভাইদের যে ভাবে বিয়ে হয়েছে। আমি সেই সম্মানের সঙ্গে বিয়ে করতে চাই। সে জন্যই আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করি পুলিশ আমাকে সাহায্য করবে। আমি আমার ভালবাসার লোককে কাছে পাব।” যোগেশের অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন সুলিশ সুপার। তিনি বিষয়টি দেখার জন্য কঙ্করখেড়ার স্টেশন হাউস অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে কিছু পেলে আমরা এফআইআর দায়ের করব।