Om Birla: সংসদে আসা বন্ধ করে দিলেন ‘অসন্তুষ্ট’ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা

Lok Sabha speaker Om Birla: মঙ্গলবার, লোকসভায় দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পেশ করেছে সরকার। এই বিল পেশের সময় বিরোধী এবং সরকার - দুই পক্ষের সাংসদদের আচরণেই বিরক্ত হয়েছেন ওম বিড়লা, জানিয়েছে এএনআই। এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের কাছে সংসদের মর্যাদারক্ষাই অগ্রাধিকারের বিষয়।

Om Birla: সংসদে আসা বন্ধ করে দিলেন 'অসন্তুষ্ট' লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা
মঙ্গলবার এসেছিলেন, কিন্তু বুধবার থেকে সংসদে আসা বন্ধ করে দিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2023 | 4:58 PM

নয়া দিল্লি: ২০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তবে, মণিপুর হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্বে, বুধবার (২ অগস্ট) পর্যন্ত, কার্যত প্রতিদিনই নষ্ট হয়েছে সংসদীয় কার্যক্রম। এই ভাবে লাগাতার সংসদীয় কার্যক্রমের ব্যাখাত ঘটায় শাসক এবং বিরোধী – দুই পক্ষের সাংসদদের উপরই অত্যন্ত অসন্তুষ্ট লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সংবাদমাধ্যম এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যতদিন না পর্যন্ত সংসদের উপযুক্ত আচরণ করছেন সাংসদরা, ততদিন আর তিনি লোকসভায় আসবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বস্তুত, সংসদের অচলাবস্থার জন্য শাসক এবং বিরোধী পক্ষ, একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ সচল রাখার দায়িত্ব সরকারের উপরই বর্তায়।

মঙ্গলবার, লোকসভায় দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ পেশ করেছে সরকার। এই বিল পেশের সময় বিরোধী এবং সরকার – দুই পক্ষের সাংসদদের আচরণেই বিরক্ত হয়েছেন ওম বিড়লা, জানিয়েছে এএনআই। এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের কাছে সংসদের মর্যাদারক্ষাই অগ্রাধিকারের বিষয়। সংসদীয় কার্যক্রম চলার সময় সাংসদরা সংসদের মর্যাদা এবং শালীনতা বজায় রাখবেন, এমনটাই তাঁর প্রত্যাশা। কিন্তু, ২০ জুলাই বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধী দল এবং ট্রেজারি বেঞ্চের বাধায় যেভাবে বারবার সংসদের কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে, তাতে বেজায় অসন্তুষ্ট তিনি। তাই একপ্রকার লোকসভা অধিবেশন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

বুধবার, লোকসভার অধ্যক্ষের আসনে ছিলেন না তিনি। তবে, তাতে সাংসদদের আচরণে কোনও প্রভাব পড়েনি। এদিন দিল্লি জাতীয় রাজধানী এলাকার সরকার (সংশোধনী) বিলের উপর আলোচনা এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। সকল সাংসদদের লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছিল বিজেপি। কিন্তু এদিনও, সংসদীয় কার্যক্রম শুরু হতেই মণিপুর হিংসা নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলের সাংসদরা। লোকসভার ডেপুটি চেয়ার পদে এখন কেউ নেই। ওম বিড়লার অনুপস্থিতিতে এদিন সংসদীয় কার্যক্রম পরিতালনার দায়িত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ কিরিৎ সোলাঙ্কি। তিনি বারংবার বিরোধী সাংসদদের সংসদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, বিরোধীরা তাঁর অনুরোধে কান দেননি। এই অবস্থায় এদিনও সারা দিনের মতো সংসদের দুই কক্ষেরই কার্যক্রম মুলতবি করে দিতে হয়।