৩-৪ সপ্তাহের লকডাউনই বাঁচাতে পারে ভারতকে, পরামর্শ মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের

আমেরিকাও দেখেছে সংক্রমণের ভয়ঙ্কর চেহারা। আর সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ কিছু পরামর্শ দিলেন মার্কিন এই চিকিৎসক

৩-৪ সপ্তাহের লকডাউনই বাঁচাতে পারে ভারতকে, পরামর্শ মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের
দিল্লির হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা মিলেছে ফুটপাথে। ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2021 | 12:08 PM

নয়া দিল্লি: দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ভয়ঙ্করতর চেহারার সাক্ষী থাকছে ভারত। প্রত্যেকদিন ৪ লক্ষ ছাড়াচ্ছে সংক্রমণ। বিপুল সংখ্যক আক্রান্তের সামনে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ভারতের এই পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালেও। এই অবস্থায় কী ভাবে রেহাই পাওয়া ষেতে পারে, তা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিলেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফউচি।

বিভিন্ন বিষয়ে যা বললেন তিনি:

লকডাউনই একমাত্র উপায়:

ডা. ফউচি মনে করেন দেশ জুড়ে ‘শাটডাউন’ করে দেওয়া উচিত। বিশেষত যে সব এলাকায় সংক্রমণ বেশ ছড়িয়েছে, সেখানে সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে। এমন নয় যে মাস ছয়েক সব বন্ধ রাখতে হবে। তিন ধেকে চার সপ্তাহ লকডাউন চালাতে হবে। তার মধ্যে যত বেশি সম্ভব মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। সংক্রমণের চেন ভেঙে গেলেই পরিস্থিতি অনেকটা আয়ত্তে আসবে। তারপর আস্তে আস্তে আবার সব পরিষেবা স্বাভাবিক করে দেওয়া যাবে।

আর্থিক পরিস্থিতি:

‘গত ১৬ মাসে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। সব পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে অর্থনীতি মুখ থবড়ে পড়ে ঠিকই। তবে, কয়েক সপ্তাহ পরে আবার সব চালু হলে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য লকডাউন চলে তাহলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কয়েক সপ্তহ লকডউন করে সংক্রমণের চেন ভেঙে ফেললে সহজেই অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আমেরিকার ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ার পর আবার সব ঠিক হতে শুরু করেছে।

অধিক মানুষকে ভ্যাকসিন:

ভারতে যা পরিস্থিতি তাতে দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেন না পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। আর সেই সমস্য সবার আগে সমাধান করতে হবে। কিছু অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করতে হবে। যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকা দিতে হবে, যাতে করোনা আক্রান্ত হলেও অসুস্থতা কমে। আর এতে সংক্রমণ কমে যাওয়ার প্রবণতাও তৈরি হয়।

দ্বিতীয় ঢেউ বেশি ভয়ঙ্কর:

দিল্লিতে ছড়াচ্ছে ইউকে স্ট্রেন আর মহারাষ্ট্রে ভারতের নতুন স্ট্রেন। এর ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে হু হু করে। উহানের স্ট্রেনের থেকে এগুলো অনেকটাই আলাদা। আর এতে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। আগের থেকে অসুস্থতাও বাড়ছে অনেক বেশি। আক্রান্তদের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে অধিক।

বিভেদ ভুলে কাজ করুন:

আমেরিকাও বিপুল সংক্রমণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। আর তার থেকে শিক্ষা নিয়ে যেটা দেখা গিয়েছে, তা হল, গোটা দেশকে একত্রিত থাকতে হবে। রাজনৈতিক বিভেদ প্রকট হতে দেওয়া যাবে না। সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে শত্রুতা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।