Stan Swamy: গোপনে স্ট্যান স্বামীর ল্য়াপটপে ভরে দেওয়া হয়েছিল মাওবাদীদের চিঠি? বিস্ফোরক তথ্য মার্কিন রিপোর্টে

Bheema Koregaon Case: ২০২০ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগেই স্ট্য়ান স্বামী একটি ভিডিয়ো বার্তায় দাবি করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।

Stan Swamy: গোপনে স্ট্যান স্বামীর ল্য়াপটপে ভরে দেওয়া হয়েছিল মাওবাদীদের চিঠি? বিস্ফোরক তথ্য মার্কিন রিপোর্টে
স্ট্যান স্বামী। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 11:25 AM

নয়া দিল্লি: বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ফাদার স্ট্য়ান স্বামীর গ্রেফতারি নিয়ে। আমেরিকার একটি ফরেন্সিক ফার্মের তরফে দাবি করা হল, ইচ্ছাকৃতভাবে ফাদার স্ট্যান স্বামীর কম্পিউটারে অপরাধমূলক নানা তথ্য ঢোকানো হয়েছিল। এই তথ্য় প্রমাণের ভিত্তিতেই ২০২০ সালে সন্ত্রাসবাদে যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৮৩ বছরের সমাজকর্মী ফাদার স্ট্যান স্বামীকে। মার্কিন ফার্মের এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই কেন্দ্রীয়  তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, গত বছরই জেল হেফাজতে মৃত্যু হয় ফাদার স্ট্যান স্বামীর।

ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্তভার রয়েছে এনআইএ-র হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ছিল, নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ফাদার স্ট্যান স্বামী। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁও গ্রামে যে দাঙ্গা হয়েছিল, তার সঙ্গেও স্ট্যান স্বামী সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে দাবি করা হয়। ফাদার স্ট্যান স্বামীর কম্পিউটার থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খুনের পরিকল্পনার অভিযোগে স্ট্যান স্বামী সহ একাধিক বামপন্থী সমাজকর্মী, শিক্ষাকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

২০২০ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগেই স্ট্য়ান স্বামী একটি ভিডিয়ো বার্তায় দাবি করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। স্ট্যান স্বামীর সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েই বস্টনের আরসেনাল কনসাল্টিং নামক একটি ফরেন্সিক ফার্ম জানায়, প্রায় ৪৪টি নথি, যা মাওবাদীদের চিঠি বলে দাবি করা হয়েছিল, তা সাইবার হানা চালিয়ে স্ট্যান স্বামীর কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৯- পাঁচ বছর ধরে স্ট্যান স্বামীর কম্পিউটারের অ্যাক্সেস ছিল বলেই জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। উল্লেখ্য, এই তদন্তকারী সংস্থাকে স্ট্যান স্বামীর আইনজীবীরাই ঠিক করেছিলেন তদন্তের জন্য।

২০২১ সালে পুলিশ হেফাজতে স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর পরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফেও সেই সময় বলা হয়েছিল, ফাদার স্ট্যান স্বামীকে ভুয়ো সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বন্দি করে রাখা হয়েছে।