India-China Clash: ‘উত্তেজনা যাতে না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে’, ভারত-চিনের সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসঙ্ঘও
India India-China Clash: গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতের জমিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে চিনের প্রায় ৩০০ সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও।
জেনেভা: ভারত-চিনের সংঘর্ষ পৌঁছল রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চেও। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাস দ্রুত ভারত-চিন সীমান্তে সেনা প্রত্যাহার যাতে করা হয়, তার বার্তা দিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতের জমিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে চিনের প্রায় ৩০০ সেনা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীও। কার্যত লাঠিপেটা করে ভারতের জমি থেকে তাড়ানো হয় চিনের সেনাকে। দুই দেশের তরফেই জানানো হয়েছে, সংঘর্ষে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
ভারত ও চিনের সম্পর্ক নিয়ে আগেও রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে আলোচনা হয়েছিল। বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের বিরোধও প্রকাশ্যে আসে। তবে গত সপ্তাহেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে সংঘর্ষ হয়, তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করা হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাসের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেন, “আমরা রিপোর্ট দেখেছি। ওই এলাকায় দ্রুত সেনা প্রত্যাহার এবং ওই অঞ্চলে যাতে উত্তেজনা আর না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“We’ve seen these reports. We call for de‑escalation & to ensure that the tensions in that area do not grow,” says Stephane Dujarric, spokesperson of UN Secretary-General Antonio Guterres on clash between Indian & Chinese troops in the Tawang sector of Arunachal Pradesh pic.twitter.com/6IYrBKzwoQ
— ANI (@ANI) December 14, 2022
উল্লেখ্য, গতকাল সংসদে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং অরুণাচলে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ নিয়ে বিবৃতি পেশ করেন। তিনি বলেন, “গত ৯ ডিসেম্বর চিনের সেনা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অবস্থান বদল করার চেষ্টা করেছিল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী তার কড়া জবাব দিয়েছে।”
অন্যদিকে, চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বেজিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বরের সংঘর্ষে চিনের সেনাবাহিনীর কেউ নিহত বা আহত হননি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ফের একবার মুখোমুখি সংঘর্ষ হল ভারত ও চিন সেনার।