Aligarh: চাবিই ৪ ফুটের, তালার কথা শুনলে ঘাবড়ে যাবেন! রাম মন্দিরকে অনন্য উপহার প্রৌঢ় কারিগরের

Lock and key for Ayodhya Ram Temple: রামের একনিষ্ঠ ভক্ত কারিগড় সত্য প্রকাশ শর্মা। বিশ্বের বৃহত্তম হস্তনির্মিত তালা তৈরি করেছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য। গত কয়েক মাস ধরে তিনি এর জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন।

Aligarh: চাবিই ৪ ফুটের, তালার কথা শুনলে ঘাবড়ে যাবেন! রাম মন্দিরকে অনন্য উপহার প্রৌঢ় কারিগরের
এই তালার চাবিটিই চার ফুট লম্বাImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2024 | 2:07 PM

আলিগড়: ওজন ৪০০ কেজি। উচ্চতায় ১০ ফুট, চওড়ায় ৪.৫ ফুট, পুরু ৯.৫ ইঞ্চি। অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য, এমনই এক বিশালাকার তালা তৈরি করেছেন এক রামভক্ত কারিগর। যার চাবিটি চার ফুট লম্বা। উত্তর প্রদেশের আলিগড়, গোটা ভারতেই তালা নির্মাণের জন্য বিখ্যাত। এই এলাকা পরিচিতই ‘তালা নাগরী’ বা ‘তালার দেশ’ হিসেবে। এই আলিগড়েরই বাসিন্দা সত্যপ্রকাশ শর্মা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি তালা নির্মাণের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অযোধ্যার রাম মন্দিরকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম হাতে তৈরি তালা’ উপহার দিতে চলেছেন রামভক্ত এই কারিগর। এর জন্য গত কয়েক মাস ধরে পরিশ্রম করেছেন তিনি। হাতুড়ি পিটিয়ে পিটিয়ে, ঘসে ঘসে চকচকে তালাটি তৈরি করছেন। এখনও কিছু খুঁটিনাটি কাজ বাকি। চলতি বছরের শেষের দিকেই রাম মন্দির কর্তৃপক্ষকে তিনি এই তালাটি উপহার দেবেন বলে ঠিক করেছেন।

আগামী বছরের জানুয়ারিতে খুলে যাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের দরজা। এমনই আশা রামভক্তদের। মন্দিরটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে, এই মন্দির নির্মাণে নিজেদের মতো করে অবদান রাখতে চাইছেন ভক্তরা। সত্যপ্রকাশও ব্যতিক্রম নন। তিনি জানিয়েছেন, এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে হাতে তৈরি তালা তৈরির কাজ করে তাঁর পরিবার। তিনি নিজেই ৪৫ বছর ধরে এই কাজে যুক্ত। তিনি বলেছেন, এই তালা আমার ভালোবাসার শ্রমের ফল। আমার স্ত্রী রুক্মিনীও আমাকে এই কঠিন কাজে যথাসাধ্য সাহায্য করেছে। আগে আমরা একটি ৬ ফুট লম্বা এবং ৩ ফুট চওড়া তালা তৈরি করেছিলাম। কিন্তু অনেকে আমাদের বলেছিল আরও বড় তালা তৈরি করতে। তাই আমরা এই তালাটি তৈরির কাজ শুরু করেছি।”

চলতি বছরের শুরুতেই এই তালাটি প্রদর্শনীতে দেখানো হয়েছিল

চলতি বছরের শুরুতে, আলিগড়ের বার্ষিক প্রদর্শনীতে এই বিশেষ তালাটি প্রথমবার জনসমক্ষে আনা হয়েছিল। তবে, তালাটি তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। সত্যপ্রসাদ জানিয়েছেন, তালাটিতে কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করতে চান তিনি। এছাড়া, তালাটিতে অলঙ্করণও যোগ করছেন তিনি। তালাটি একেবারে নিখুঁতভাবে গড়তে চান তিনি। তালাটিতে অলঙ্করণের কাজ করছেন রুক্মিনী। এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। জীবনের সঞ্চয় প্রায় সবটাই সত্যপ্রসাদ ঢেলে দিয়েছেন তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে। তিনি বলেছেন, “আমাদের শহর তালার জন্য পরিচিত। তাই রাম মন্দিরের জন্য আমি এই বিশাল তালা তৈরি করার কথা ভেবেছিলাম।”

তবে, এই বিশাল তালাটি কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কর্তারা জানিয়েছেন, বহু ভক্তই এইরকম ভাবে অবদান রাখতে চাইছেন। বিশালাকার তালাটি তাঁরা গ্রহণ করবেন ঠিকই, তবে সেটি কোথায় ব্যবহার করা যেতে পারে, তা ভেবে দেখতে হবে। এদিকে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৪-এর ২১, ২২ এবং ২৩ জানুয়ারি রাম মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে। ওই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।