Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uttar Pradesh: ১০ মিনিটে ৩ বোতল দেশি মদ খাওয়ার চ্যালেঞ্জ; বন্ধু ভেবেছিলেন যাদের, তারাই…

Uttar Pradesh Crime: ১০ মিনিটে উড়িয়ে দিতে হবে ৩ বোতল দেশি মদ। চ্যালেঞ্জ করেছিল দুই বন্ধু। কিছু না ভেবে চিন্তেই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করেছিলেন বছর ৪৫-এর জয় সিং।

Uttar Pradesh: ১০ মিনিটে ৩ বোতল দেশি মদ খাওয়ার চ্যালেঞ্জ; বন্ধু ভেবেছিলেন যাদের, তারাই...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2023 | 4:35 PM

আগ্রা: ১০ মিনিটে উড়িয়ে দিতে হবে ৩ বোতল দেশি মদ। চ্যালেঞ্জ করেছিল দুই বন্ধু। কিছু না ভেবে চিন্তেই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণও করেছিলেন বছর ৪৫-এর জয় সিং। পেশায় ই-রিক্সা চালক। কিন্তু, পরিণতি হল মর্মান্তিক। রাস্তার ধারে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে পেয়েছিলেন তাঁর বড় ছেলে করণ। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। শুধু তাই নয়, যে দুই জন ছিল তাঁর প্রাণপ্রিয় বন্ধু, এই ঘটনায় তাদের চরিত্রও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুলিশ ওই দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি। আগ্রার শিল্পগ্রাম পার্কিংয়ের কাছে মদ্যপানের জন্য জড়ো হয়েছিলেন জয় সিং এবং তাঁর দুই ‘বন্ধু’ ভোলা এবং কেশব। জয়কে ১০ মিনিটে ৩ বোতল দেশি মদ খাওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিল তারা। জয় সিং সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বলেছিলেন, তিনি যদি ওই পরিমাণ মদ পান করতে না পারেন, তাহলে মদের দাম তিনিই দেবেন। এদিকে, অনেক রাত হয়ে গেলেও জয় বাড়ি না ফেরায় তাঁকে খুঁজতে বেরিয়েছিল তাঁর ১৬ বছর বয়সী ছেলে করণ। শিল্পগ্রাম পার্কিংয়ের কাছে এক জায়গায় রাস্তার পাশে সে তাঁর বাবাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পায়।

এরপর জয় সিং-কে ধরাধরি করে কাছের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে আরেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখান থেকেও তাঁকে ফিরিয়ে দিলে, জয় সিং-কে এসএন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, রাস্তাতেই জয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায় যে, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে অ্যালকোহল ওভারডোজ় হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জয়ের তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই, বেপাত্তা ছিল ভোলা এবং কেশব। জয়ের ভাই সুখবীর সিং-এর বলেছেন, “ভোলা এবং কেশবের সঙ্গে গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধুত্ব ছিল আমার ভাইয়ের। কিন্তু, মদ্যপান করে ও যে অসুস্থ হয়ে পড়েছে, ওরা সেই বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। গত বছরই ও ই-রিকশার কিনেছিল। তার কিস্তি পরিশোধ করার জন্য ওইদিন ওর পকেটে ৬০ হাজার টাকা ছিল। সেই অর্থও নিয়ে ওরা চম্পট দেয়। জয়কে মরার জন্য রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।”

তবে পালিয়ে বাঁচতে পারেনি তারা। ভোলা এবং কেশবকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় হত্যার অভিযোগে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাজগঞ্জ থানার এসএইচও বাহাদুর সিং বলেছেন, “ভোলা এবং কেশবকে গ্রেফতার করে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জেরার মুখে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে।”