OYO Hotels: OYO রুমে তালা বন্ধ করে চলল এই কাজ, তারপর…
OYO Hotels: দুই অতিথিকে রুমের ভিতর তালাবন্ধ করে মারধর হোটেল কর্মীর। বিলাসপুরে OYO হোটেলের ঘটনা।
গুরুগ্রাম: টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বচসা। হোটেলের অতিথিদেরই বন্দুক দেখিয়ে মারধর OYO হোটেলের কর্মীদের। দিল্লি-জয়পুর মহাসড়কের কাছে বিলাসপুরের একটি OYO হোটেলে এমনটাই ঘটেছে। পুলিশের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন দুই ব্যক্তি। সোমবার অভিযুক্ত হোটেলের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
দুই বন্ধু সন্দীপ কুমার ও বিকাশ। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিলাসপুরের একটি OYO হোটেলে ওঠেন দুই বন্ধু। দিল্লি-জয়পুর মহাসড়কের কাছে এই ‘হ্যাপি স্টে ওয়ো হোটেল’। রাত ৯ টা নাগাদ তাঁরা এই OYO হোটেলে চেক ইন করেন। আর রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ সেই হোটেলের বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। সেই অন্ধকারেই কাটাতে হয় তাঁদের। রাত ১ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তাঁরা। কিন্তু তখনও আসেনি ইলেকট্রিসিটি। তারপর হোটেলের কর্মীদের নিজেদের সমস্যার কথা জানান কুমার এবং কখন ইলেকট্রিসিটি আসবে তা জিজ্ঞাসা করেন।
তাঁর এই প্রশ্নের জবাবে এক হোটেল কর্মী জানান পরের দিন সকাল পর্যন্ত কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না। তাই দুই বন্ধু নিজেদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। তা থেকেই হোটেল কর্মীদের সঙ্গে দুই বন্ধুর বচসা বাঁধে। তারপরই কর্মীরা তাঁদের হোটেল রুমে বন্ধ করে দেন এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন কুমার। তিনি পুলিশকে জানানো অভিযোগে জানিয়েছেন, “পরে তিনজন হোটেল কর্মী সনু, মনু ও রাহুল একটি ফাঁকা জায়গায় আমাদের জোর করে বন্দুক দেখিয়ে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে আমাদের মারধর করেন। এই ঘটনা সম্বন্ধে আমরা কাউকে কিছু বললে আমাদের মারার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।” হোটেলের কর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার হতেই বিলাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দুই বন্ধু। তাঁর এফআইআর-র ভিত্তিতেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৮, ১৪৯, ৩২৩, ৩৪২, ৩৬৫ ও ৫০৬ ধারায় এবং আগ্নেয়াস্ত্র আইনের ২৫, ৫৪ ও ৫৯ ধারায় অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার বিলাসপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিলাসপুর পুলিশ স্টেশনের এসএইচও রাহুল দেব বলেছেন, “আমরা অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছি। তবে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে… তাঁদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।”