UP Physical Assault: জঙ্গলে শৌচকর্ম সারতে গিয়ে ধর্ষিত, লোকলজ্জার ভয়ে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী কিশোরী
UP Physical Assault: সমাজের নীচু শ্রেণির হওয়ায়, ওই দলিত পরিবার প্রথমে পুলিশে অভিযোগ জানাতে দ্বিধাবোধ করছিল। নির্যাতিতাও সমাজের কটাক্ষের ভয়ে বুধবার সকালে, পরিবারের সকলের অলক্ষ্যে বিষাক্ত কোনও পদার্থ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
লখনউ: দিন-প্রতিদিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে মহিলাদের উপরে হওয়া অপরাধের সংখ্যা। একের পর এক ধর্ষণের খবর মিলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ফের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ফতেহপুরে। বুধবার ওই নাবালিকা আত্মহত্যা করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার চান্দপুর পুলিশ স্টেশনের অধীনে একটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ১৫ বছরের ওই দলিত কিশোরী প্রাতঃকর্ম সারতে বাড়ির পাশেই জঙ্গলে গিয়েছিল। সেই সময়ই গ্রামের এক যুবক তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
দীর্ঘক্ষণ বাদেও ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায়, পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে বের হয়। রাতে জঙ্গল থেকে তাকে অচৈতন্য ও বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে তারা স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই কিশোরীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।
সমাজের নীচু শ্রেণির হওয়ায়, ওই দলিত পরিবার প্রথমে পুলিশে অভিযোগ জানাতে দ্বিধাবোধ করছিল। নির্যাতিতাও সমাজের কটাক্ষের ভয়ে বুধবার সকালে, পরিবারের সকলের অলক্ষ্যে বিষাক্ত কোনও পদার্থ খেয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত ওই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, নির্যাতিতার মৃত্যুর পরই পরিবারের সদস্যরা থানায় যান এবং গোটা ঘটনা খুলে বলেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেন এবং বিকেলের মধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করা হয়। ইতিমধ্যেই ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই যুবক নিজের অপরাধ স্বীকারও করে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তর প্রদেশে একাধিক ধর্ষণের খবর এসেছে। গত সপ্তাহেই এক ধর্ষিত কিশোরী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, সেই থানার স্টেশন ইনচার্জও তাকে ধর্ষণ করেন। বুধবার ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির মতো বিরোধী দলগুলি।