বাড়ছে ঋষিগঙ্গার জলস্তর, সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়েই চালু রইল উদ্ধারকার্য

আজ সকালে উদ্ধারকার্য চলাকালীন আচমকাই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে প্রবল বেগে জল বের হতে শুরু হওয়ায় সুড়ঙ্গের ভিতরে উদ্ধারকার্যে ব্যস্ত কর্মীরা দৌড়ে বেরিয়ে আসেন। উদ্ধারকার্যে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলিও সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

বাড়ছে ঋষিগঙ্গার জলস্তর, সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়েই চালু রইল উদ্ধারকার্য
ফের চালু হল উদ্ধারকার্য। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Feb 11, 2021 | 4:13 PM

জোশীমঠ: উত্তরাখণ্ডের ঋষিগঙ্গা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘণ্টা খানেকের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল উদ্ধারকার্য। তবে আটকে পড়া ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে ফের উদ্ধারকার্য শুরু হল। গতকাল রাত দু’টো থেকে সুড়ঙ্গে ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে ফুটো করার কাজ শুরু হয়। আজ সকালে মাত্র ৬ মিটার গভীরে পৌঁছতেই উদ্ধারকারী দলগুলি দেখেন, সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে হুড়মুড়িয়ে জল বেরিয়ে আসছে। একইসঙ্গে ঋষিগঙ্গার মতো একাধিক নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত উদ্ধারকার্য স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন আধিকারিকরা।

গত রবিবার উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে হিমবাহের একাংশ ভেঙে পড়ায় যে হড়পা বান আসে, তাতে এনটিপিসির শ্রমিক, গ্রামবাসী সহ প্রায় ২০০-রও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে যান। উদ্ধারকার্যে সঙ্গে সঙ্গেই হাত লাগায় জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী ও ইন্দো-টিবেটিয়ান সীমান্ত পুলিশের জওয়ানরাও উদ্ধারকার্যে হাত লাগান।

তপোবনের প্রথম সুড়ঙ্গ থেকে ১২জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ, যেখানে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ জন আটকে রয়েছেন, সেখান থেকে এখনও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকার্যে বিলম্বের কারণ হিসাবে উদ্ধারকারী দলগুলি জানায়, সুড়ঙ্গটি ইংরেজি “ইউ” আকারের হওয়ায় ও সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে কাদা জল জমে থাকায় উদ্ধারকার্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দল, সংসদ, মন্ত্রিত্ব ছাড়াই ‘মানুষের সেবা’ করবেন আজ়াদ

আজ সকালে উদ্ধারকার্য চলাকালীন আচমকাই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে প্রবল বেগে জল বের হতে শুরু হওয়ায় সুড়ঙ্গের ভিতরে উদ্ধারকার্যে ব্যস্ত কর্মীরা দৌড়ে বেরিয়ে আসেন। উদ্ধারকার্যে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলিও সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপদের আশঙ্কায় উদ্ধারকার্য স্থগিত করে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে এনটিপিসি প্রকল্পের ডিরেক্টর উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, “৬ মিটার গভীরতায় পৌঁছতেই জল বেরিয়ে আসতে শুরু করে। আশেপাশের পাথরগুলি আলগা হওয়ায় কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই আপাতত ড্রিলিংয়ের কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। যাঁরা ওই সুড়ঙ্গের ভতরে কাজ করছিলেন, তাঁরা উপরে উঠে আসতে পারেননি। তবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিতই রয়েছেন তাঁরা।”

তবে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে একঘণ্টার মধ্যেই ফের উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়। এনডিআরএফের কর্মীরা জানান, ঋষিগঙ্গা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ধারকারী দলগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণের জন্য উদ্ধারকার্য স্থগিত থাকলেও বর্তমানে সীমিত সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে এখন ফের উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিজেপি রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতায় বিশ্বাসী নয়: প্রধানমন্ত্রী