Uttarakhand Bridge: দেবভূমিতেও ভাঙল নির্মীয়মান সেতু, মুছল ‘সিগনেচার’, নিমেষে জলে ৭৬ কোটি টাকা

Uttarakhand Bridge: ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছিল সেতুটি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলা্ই) বিকেলে এই নির্মীয়মান বিশাল সেতুটিই সেতুটিই ভেঙে পড়েছে। তবে, এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর নেই। নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এটিই হবে উত্তরাখণ্ডের প্রথম 'সিগনেচার ব্রিজ'।

Uttarakhand Bridge: দেবভূমিতেও ভাঙল নির্মীয়মান সেতু, মুছল 'সিগনেচার', নিমেষে জলে ৭৬ কোটি টাকা
ভেঙে পড়ে আছে সেতুর কাঠামো Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 18, 2024 | 8:28 PM

নয়া দিল্লি: বিহারে সেতু ভেঙে পড়া আর কোনও নতুন বিষয় নয়। প্রায় নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এবার সেতু ভাঙল উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে। ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছিল সেতুটি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলা্ই) বিকেলে এই নির্মীয়মান বিশাল সেতুটিই সেতুটিই ভেঙে পড়েছে। তবে, এই ঘটনায় কারও হতাহত হওয়ার খবর নেই। নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এটিই হবে উত্তরাখণ্ডের প্রথম ‘সিগনেচার ব্রিজ’। সিগনেচার ব্রিজ হল এক ধরণের অপ্রতিসম কেবল সেতু। সেতুর মধ্যে একটি টাওয়ার থাকে, তার সঙ্গেই কেবলগুলি আটকানো থাকে। যা দেখলে মনে হয় একজোড়া হাত নমস্কারের ভঙ্গীতে রয়েছে। রুদ্রপ্রয়াগের বদ্রিনাথ হাইওয়ের নারকোটায় নির্মাণ করা হচ্ছিল সেতুটি। আরসিসি ডেভেলপার নামে এক নির্মাণ সংস্থা এই সেতুটি তৈরি করছিল।

স্থানীয় এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছেন, এদিন বিকেল সোয়া চারটেয় এই ঘটনা ঘটে। সেতুটির ভিত অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র সেতুর মাঝখানে থাকা টাওয়ারটি ধসে গিয়েছে। টাওয়ারটি ভেঙে পড়ায় সেতুটির কাঠামোরও বড় ক্ষতি হয়েছে। ওই কর্তা জানিয়েছে, কী ভুল হয়েছিল, কেন ভেঙে পড়ল সেতুটি, তা খতিয়ে দেখবে এক কারিগরি কমিটি। আরেক কর্তা জানিয়েছেন, সৌভাগ্যক্রমে কারও প্রাণহানি হয়নি বা কেউ আহত হননি। তিনি জানিয়েছেন, যে সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, ওই সময় সাধারণত প্রতিদিনই জনা চল্লিশেক শ্রমিক সেখানে কাজ করেন। আজ অদ্ভূতভাবে কেউ সেতুতে কাজ করছিল না। তাই কোনও বড় বিপদ ঘটেনি। ওই কর্তা বলেছেন, “সৌভাগ্যবশত, এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”

তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু নির্মাণের কাজে গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সরকার সেতুটি তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছে না। বর্তমানে যে সংস্থা এই প্রকল্পটির দায়িত্বে আছে, সেই সংস্থাকে সরিয়ে অন্য কোনও সংস্থাকে নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হোক, এমনটাই চাইছেন স্থানীয়রা।