Uttarkashi tunnel rescue: ভরদুপুরে বিকট শব্দ, থামিয়ে দেওয়া হল টানেলের উদ্ধারকাজ

Uttarkashi tunnel rescue: ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ওই শব্দে কার্যত ভয় পেয়ে যান উদ্ধারকারীরাও। আবার কোনও বিপদ ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না সংস্থা। বসছে জরুরি বৈঠক।

Uttarkashi tunnel rescue: ভরদুপুরে বিকট শব্দ, থামিয়ে দেওয়া হল টানেলের উদ্ধারকাজ
অন্ধকার সুড়ঙ্গে পাঠানো হচ্ছে খাবার।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2023 | 6:41 AM

উত্তরাখণ্ড : সাতদিন হয়ে গেল, দেবভূমিতে যেন চলছে যমে-মানুষে লড়াই। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাতভর কাজ হলেও এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি আটকে পড়া ৪০ জন শ্রমিকের। এরই মধ্যে আবার নতুন বাধা। শুক্রবার দুপুরে আবারও থমকে গেল কাজ। প্রতিদিনের মতো টানেলের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ ঢোকানোর কাজ চলছিল। ড্রিল মেশিন দিয়ে সেই কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ঘড়িতে যখন ঠিক দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিট, তখনই শোনা গেল এক বিকট শব্দ। যেন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে কিছু উদ্ধারকারীরাও ভয় পেয়ে গেলে সেই শব্দে। নির্দেশ এল কাজ বন্ধ করার।

গত রবিবার কাজ করার সময় আচমকা একটা অংশ ভেঙে পড়ায় উত্তরকাশীতে এক নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে আটকে পড়েন ৪০ জন শ্রমিক। তারপর থেকেই পুরোদমে চলছে উদ্ধারকাজ। গত বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রিল মেশিন। সেটি ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। দ্রুত ওই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাওয়া যাবে বলেই আশা করেছিলেন উদ্ধারকারীরা। তবে, তার মধ্যেও এল বাধা।

ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ওই শব্দে কার্যত ভয় পেয়ে যান উদ্ধারকারীরাও। সংস্থার তরফ থেকে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে আবারও কোনও অংশ ভেঙে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এরপর কী হবে, তা ঠিক করতে আধিকারিকরা দ্রুত বৈঠকে বসেন। উদ্ধারকাজ কিছুটা ধীরগতিতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসার্ধের পাইপ প্রবেশ করতে অন্তত ৬০ মিটার খনন করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে থাইল্যান্ড ও নরওয়ের উদ্ধারকারী দল। ২০১৮ তে যে উদ্ধারকারী দল গুহায় আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধার করেছিল, সেই দলকেও নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, বিআরও ও আইটিবিপি-র আধিকারিকরা।