বিদেশে যাচ্ছে টিকা, দেশবাসী পাচ্ছেন না, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

বিচারপতি বিপিন সিং ও বিচারপতি রেখা পল্লির বেঞ্চের কথায়, "ভ্যাকসিন হয় বিদেশে উপহার পাঠানো হচ্ছে নয়ত বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের মানুষরা টিকা পাচ্ছেন না। সেখানে একটি দায়িত্ববোধ ও তৎপরতা থাকা উচিত।"

বিদেশে যাচ্ছে টিকা, দেশবাসী পাচ্ছেন না, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 7:38 PM

নয়া দিল্লি: দেশে দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাকরণ শুরু হয়েছে। কোভ্য়াক্সিন (Covaxin) ও কোভিশিল্ডের (Covishield) মাধ্যমে জোর কদমে চলছে করোনা টিকাকরণ। দ্বিতীয় দফার করোনা টিকাকরণে টিকা পাচ্ছেন ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা ও ৪৫ বছরের বেশি কো-মর্বিডিটি যুক্তরা। কিন্তু কেন্দ্রের টিকাকরণে সন্তুষ্ট নয় দিল্লি হাইকোর্ট। এ দিন বার কাউন্সিল অব দিল্লির তথ্যের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত একটি জনস্বার্থ মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতে করোনা টিকাকরণে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ শক্তির সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না। বিচারপতি বিপিন সিং ও বিচারপতি রেখা পল্লির বেঞ্চের কথায়, “ভ্যাকসিন হয় বিদেশে উপহার পাঠানো হচ্ছে নয়ত বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের মানুষরা টিকা পাচ্ছেন না। সেখানে একটি দায়িত্ববোধ ও তৎপরতা থাকা উচিত।”

দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রথম দফায় করোনা টিকা পেয়েছিলেন চিকিৎসক ও প্রথম সারির যোদ্ধারা। দ্বিতীয় দফায় ষাটোর্ধ্ব ও ৪৫ বছরের বেশি বয়সী কো-মর্বিডিটি যুক্তদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। বিচার বিভাগীয় কর্মী, বিচারপতি ও কোর্টের কর্মীদের ‘প্রথম সারির যোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচনা করার দাবি করেছিল বার কাউন্সিল অব দিল্লি। বয়স ও কো-মর্বিডিটি নির্বিশেষে টিকা দেওয়া হোক বিচার বিভাগীয় কর্মীদের, এই আবেদনই জমা পড়েছিল।

সেই মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের টিকাকরণ কর্মসূচির বিষয়ে কার্যত অসন্তোষ প্রকাশ করে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। বিচারপতি বিপিন সিং ও রেখা পল্লির বেঞ্চ জানিয়েছে, সিরাম ও ভারত বায়োটেক দুই রাজ্যেরই বেশি করোনা টিকা উৎপাদনের পরিকাঠামো রয়েছে। এরপর দুই সংস্থাকে প্রতিদিন, প্রতিসপ্তাহ ও প্রতিমাসের টিকা উৎপাদনের হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়াকেও ভ্যাকসিন পরিবহণ ক্ষমতার বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বার কাউন্সিল অব দিল্লিকেও তাদের কর্মী সংখ্যার তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, কোর্টে শারীরিক ভাবে ১৫ মার্চ থেকে কাজ শুরু হচ্ছে। সেই সাপেক্ষে বিসিডি চেয়ারম্যান রমেশ গুপ্তার একটি আবেদনের কথা জানায় কোর্ট। যেখানে বিচার বিভাগীয় কর্মীদের প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে দেখার অনুরোধ রয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা ও আইনজীবী অনিল সোনি জানান, ভ্যাকসিন কারা পাবে এ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারিত হয়েছে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শে। তখন দিল্লি হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, কো-মর্বিডিটির যে তালিকা তৈরি হয়েছে সেই সংক্রান্ত গুরুতর অসুখ না থাকলে টিকা মিলবে না, কিন্তু সে ক্ষেত্রে কোর্ট কর্মীদের মাধ্যমে টিকা ছড়ানোর সম্ভাবনা থেকেই যায়।

আরও পড়ুন: ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’, নবনির্মাণ সেনার বিক্ষোভে ঝাঁপি বন্ধ করাচি বেকারির মুম্বই শাখার