Vaccine: বাংলার গ্রামে দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন ‘ইউভিকল প্লাস’, নিতে হবে দুটি ডোজ়
Vaccine: সেরোসার্ভের মাধ্যমে এর আগে ৩-৪টি রাজ্যে দেখা গিয়েছে কলেরার জীবাণু। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, বেঙ্গল, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র। বাংলাকে 'হোমল্যান্ড অব কলেরা' বলা হয় বলেও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক।
নয়া দিল্লি: দেশকে কলেরামুক্ত করতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্যোগী হল আইসিএমআর-নাইসেড। ২০৩০-এর মধ্যে গোটা দেশকে কলেরামুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে চালু করা হয়েছে বিশেষ ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুর ২ নম্বর ব্লকে ‘কলেরা ভ্যাক্সিন কমিউনিটি ইন্ট্রোডাকশন’ তৈরি করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর ২ নম্বর ব্লকের নাহাজারি, খাগড়ামুড়ি, বাকরাহাট এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০ হাজার মানুষের উপর প্রয়োগ করা করে প্রতিষেধক। তার কার্যকারিতার মাত্রা দেখা হবে। তারপর অন্যান্যা রাজ্য়েও সেই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে, তার নাম ‘ইউভিকল প্লাস’। ১৪ দিনের ব্যবধানে সেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেওয়া হবে। ১.৫ মিলিলিটার করে হবে একেকটি ডোজ। দু’বছর পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আইসিএমআর- নাইসেডের ডিরেক্টর চিকিৎসক শান্তা দত্ত জানিয়েছেন, দেশে এখনও কলেরা হয়। তবে এটি সিজনাল ডিজিজ। সাধারণত বর্ষার সময় বা তার আগে এর প্রভাব দেখা যায়। তাঁর দাবি, কলেরার ভ্যাকসিন দেশে আছে, তবে তা প্রয়োগ করা হয়নি। এবা নতুন ভ্যাকসিন এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় ৫০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার টার্গেট দেওয়া হয়েছে।
সেরোসার্ভের মাধ্যমে এর আগে ৩-৪টি রাজ্যে দেখা গিয়েছে কলেরার জীবাণু। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, বেঙ্গল, ওড়িশা ও মহারাষ্ট্র। বাংলাকে ‘হোমল্যান্ড অব কলেরা’ বলা হয় বলেও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, ১ বছর বয়সী ও তার বেশি বয়সীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
নাইসেডের বিজ্ঞানী সুমন কানুনগো জানিয়েছেন, কলেরা আটকাতে গেলে জল ঠিক রাখতে হবে। ৪০ জনের একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। তারাই পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখবে। তিনি আরও জানান, অনেক সময় দ্বিতীয় ডোজ অনেকে নিতে চায় না। এ ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দেখা হবে ডায়েরিয়াতে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না। স্টুল পরীক্ষা করে দেখা হবে সেখানে কলেরার জীবাণু আছে কিনা। কলেরা প্রবণ এলাকাতেই প্রয়োগ করা হবে।