Video: সাপ হয়ে গেল হারিয়ে যাওয়া মেয়ে! লকলক করছে জিভ, অন্ধকার গুহায় হাঁটছে বুকে

Jharkhand girl acting like snake: মনে আছে সত্যজিত রায়ের 'খগম' গল্পটা? ইমলিবাবার অভিশাপে রাতারাতি সাপ হয়ে গিয়েছিলেন ধূর্জটিবাবু। সেই গল্পই যেন এবার দেখা গেল বাস্তবের জগতে। তবে বাংলায় নয়, ঝাড়খণ্ডে। মাস তিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক তরুণী। এবার তাকেই পাওয়া গেল এক জঙ্গলের গুহায়। তবে সে আর মানুষ নেই। পরিণত হয়েছে নাগিনীতে।

Video: সাপ হয়ে গেল হারিয়ে যাওয়া মেয়ে! লকলক করছে জিভ, অন্ধকার গুহায় হাঁটছে বুকে
তিনমাস পর সন্ধান পাওয়া গেল মেয়ের, তবে সে তখন আর মানুষ নেই...Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 31, 2024 | 8:41 PM

রাঁচি: “সাপের ভাষা সাপের শিস, ফিস্‌ ফিস্‌ ফিস্‌ ফিস্‌/ বালকিষণের বিষম বিষ, ফিস্‌ ফিস্‌ ফিস্‌ ফিস্‌!” সত্যজিত রায়ের ‘খগম’ গল্পের গা শিরশির করা লাইন। মনে আছে গল্পটা? ইমলিবাবার অভিশাপে রাতারাতি সাপ হয়ে গিয়েছিলেন ধূর্জটিবাবু। সেই গল্পই যেন এবার দেখা গেল বাস্তবের জগতে। তবে বাংলায় নয়, ঝাড়খণ্ডে। মাস তিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের গারওয়া জেলার করিভাদিহ গ্রামের এক তরুণী। তারপর থেকে তাঁকে কোথাও দেখা যায়নি। রাতারাতি যেন উবে গিয়েছিল সে। তিনমাস পর দেখা পাওয়া গেল তাঁর। রানিদিহে অবস্থিত গুপ্তধাম গুহায়। তবে সে আর মানুষ নেই। পরিণত হয়েছে নাগিনীতে। না, সত্যি সত্যি নয়। শরীর তার মানুষের মতোই রয়েছে। তবে, সে অবিকল সাপের মতোই বুকে চাপ দিয়ে চলাফেরা করছে। সাপের মতোই জিভ বের করে ফোঁস-ফোঁস করছে।

রানিদিহের অন্ধকারাচ্ছন্ন গুপ্তধাম গুহায় মেয়েটি সাপের মতো আচরণ করছে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরি হয়নি। আর খবর ছড়াতেই, ‘নাগিন-কন্যা’কে দেখতে গুহার বাইরে ভিড় জমান শয়ে শয়ে মানুষ। করিভাদিহ গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রায় তিন মাস আগে মেয়েটি গুপ্তধাম গুহায় গিয়েছিল। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা করে, মহাশিবরাত্রির দিন ওই গুহার বাইরে অখন্ড কীর্তন আয়োজনের দাবি জানিয়েছিল। এলাকাটি জঙ্গলের গভীরে এবং অত্যন্ত নির্জন হওয়ায় গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন, সেখানে কীর্তন আয়োজন করা যাবে না। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। মহাশিবরাত্রির পর ওই গুহার দিকে যায় না মানুষ। তাই মেয়েটি যে ওই গুহাতেই আশ্রয় নিয়েছে, তা কেউ টেরও পায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় তাকে খুঁজতে থাকেন।

গত রবিবার (২৮ জুলাই) গ্রামের লোকজন ওই গুহায় মেয়েটির খোঁজ পায়। অন্যান্যদের মতো গুহার বাইরে আসেন মেয়েটির পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু, মেয়েটির দেখা পাওয়া যায়নি। রবিবার রাত থেকে গুহার বাইরে তাঁরা কীর্তন শুরু করেন। গভীর রাতে গুহার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসে মেয়েটি। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, একেবারে সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করতে করতে বুকে হেঁটে। তার উপরের ঠোঁটে সমস্যা রয়েছে। ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে উপরের পাটির দাঁত দেখা যাচ্ছে। আর একেবারে সাপের মতোই বারবার জিভ লকলকাচ্ছে সে। জানা গিয়েছে, শেষ পর্যন্ত পুজোপাঠ করে তাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে তার পরিবার।

View this post on Instagram

A post shared by purvanchal (@purvanchal51)

এদিকে, ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ একে বলছেন কুসংস্কার, আবার কেউ বলছেন মানসিক রোগের শিকার মেয়েটি। কেউ এভাবে সাপের মতো অন্ধকার গুহায় থাকতে পারে, সেটাই অভাবনীয় বলে জানিয়েছেন নেটিজেনরা। এই তিনমাসের মধ্যে কী এমন ঘটল, যাতে সে সাপের মতো আচরণ করছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। কেউ কেউ বলেছেন, এই অন্ধবিশ্বাস জারি থাকলে, ভারতের পক্ষে কোনোদিনই উন্নত দেশ হওয়া সম্ভব হবে না। সে যাতে মানসিক স্বাস্থ্যগত সব সহায়তা পায়, তা কামনা করেছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, এটা পুরোপুরি একটা সাজানো ঘটনা। ইন্টারনেটে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য কতা হয়েছে।