১০ কোটি টাকা জরিমানা দিলেন শশীকলা, সাজার মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির আশায় আইনজীবীরা
মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী যদিও আগেভাগেই জানিয়ে দেন, জেল থেকে মুক্তির পরও শশীকলা বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাসক দল এইআইডিএমকে বা সরকারে যোগ দিতে পারবেন না। শশীকলাকে নিয়ে দলের অবস্থান একই থাকবে, সিদ্ধান্তে কোনওরূপ পরিবর্তন হবে না।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় (disproportionate assets case) ১০ কোটি টাকা জরিমানা জমা করলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী জয়ললিতার (J Jayalalithaa) ঘনিষ্ঠ ভি কে শশীকলা (VK Sasikala)। ২০১৭ সালে আদালত শশীকলাকে চার বছরের কারাদণ্ড ও ১০ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। গতকাল সেই জরিমানাই বেঙ্গালুরু আদালতে জমা করেন তাঁর আইনজীবী।
ডিমান্ড ড্রাফ্ট্রের মাধ্যমে জরিমানার অঙ্ক জমা দেওয়ার পর শশীকলার পরামর্শদাতা রাজা সেথুর পন্ডিয়ান বলেন, “আদালতের তরফ থেকে জেল কর্তৃপক্ষকে জরিমানা পূরণের বিষয়টি জানানো হবে এবং সাজার মেয়াদপূরণের আগেই অর্থাৎ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারির আগেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।” শশীকলার সঙ্গেই সাজাপ্রাপ্ত তাঁর দুই আত্মীয়ের জরিমানা জমা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান আইনজীবী।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী আগেভাগেই জানিয়ে দেন, জেল থেকে মুক্তির পরও শশীকলা বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাসক দল এইআইডিএমকে (AIADMK) বা সরকারে যোগ দিতে পারবেন না। শশীকলাকে নিয়ে দলের অবস্থান একই থাকবে, সিদ্ধান্তে কোনওরূপ পরিবর্তন হবে না।
আরও পড়ুন: ‘এমার্জেন্সি’ নিয়ে প্রায়শই কটাক্ষ করেন, আজ ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা নমোর
২০১৪ সালে বেঙ্গালুরু ট্রায়াল কোর্ট (Bengaluru Trial Court) জয়ললিতা-সহ চার জনকে ১৮ বছর আগে দাখিল হওয়া দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। এআইডিএমকে প্রধান জয়ললিতার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার জরিমানার নির্দেশও দেয় আদালত। ২০১৫ সালে কর্নাটক হাইকোর্ট সেই আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জয়ললিতার মৃত্যু হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে দাখিল অভিযোগগুলি বাতিল করে দেওয়া হয়।
জয়ললিতার মৃত্যুর পরই দলের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন শশীকলা এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসারও চেষ্টা করেন। জয়ললিতার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ও পনিরসেলভমকে সরিয়ে তিনি পালানিস্বামীকে গদিতে বসান। পরবর্তী সময়ে পনিরসেলভম ও পালানিস্বামী নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিয়ে শশীকলা ও তার ভাইপো ধীরাকরণকেই দল থেকে বের করে দেন।
আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের অন্তর্কলহ, না পোষালে অন্য দলে যাওয়ার পরামর্শ অধীরের
অন্যদিকে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বেঙ্গালুরু ট্রায়াল কোর্টের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে। এরপরই ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্নাটক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শশীকলা ও তাঁর দুই আত্মীয় ভি এন সুধাকরণ ও জে এলাভারাসি। চার বছরের সেই সাজারই মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী বছর। অন্যদিকে, গতমাসেই আয়কর দফতর শশীকলার ১৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।