‘অধীর হটাও’, হাইকমান্ডের সামনেই বিস্ফোরণ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের
অধীর চৌধুরীকে অপসারণের দাবি উঠল দলের অন্দরেই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই 'অধীর হটাও' দাবি তোলেন রাজ্যের নেতারা।
কলকাতা: বাকি ৪ রাজ্যে তো বটেই, বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গেও মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। একটিও আসন জোগাড় করে উঠতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। ফলাফল নিয়ে কাঁটাছেঁড়া শুরু হতেই এ বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে অপসারণের দাবি উঠল দলের অন্দরেই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ‘অধীর হটাও’ দাবি তোলেন রাজ্যের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সামনে পেয়ে গত বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান কংগ্রেসের একাংশের নেতারা।
বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর্যালোচনা করতে বরিষ্ঠ নেতা অশোক চৌহানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে কংগ্রেসের হাইকমান্ড। এ বাদেও সলমান খুরশিদ এবং মনীশ তিওয়ারির মতো বরিষ্ঠ নেতারা এই বৈঠকে ছিলেন। সেখানেই রাজ্যের নেতাদের পক্ষ থেকে পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেওয়া হয়, দিল্লিতে বসে রাজ্যে দল বা সংগঠন চালানো যায় না। প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরে খোলনলচে বদলে ফেলার প্রয়োজন রয়েছে বলেও এ দিন শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেন কংগ্রেস নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং দীপা দাসমুন্সির মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: একবার টেট পাশ করলেই আজীবনের বৈধতা, নয়া ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রকের
৫ রাজ্যে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলের ময়নাতদন্ত করতে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্য ধরে ধরে ফলাফল নিয়ে আলোচনা চলছে। সবার শেষে নাম ছিল পশ্চিমবঙ্গের। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠক শুরু হলেই অধীর চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ শুরু করেন রাজ্যের নেতারা। তাঁকে সরিয়ে বিকল্প মুখ তুলে আনার দাবি জানানো হয়। এর পাশপাশি সংগঠনের করুণ পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, এ ভাবে চলতে থাকলে আরও খারাপ সময়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে দলকে। দুর্বল সংগঠনের কারণেই ভোটে এমন বিপর্যয় বলে জানানো হয় রাজ্য নেতাদের তরফে।
আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টার জন্য খুলবে রেস্তোরাঁ-পানশালা, শীঘ্রই খুলছে শপিং মলও! বণিক সভার বৈঠকে ছাড়পত্র মমতার
আজকের বৈঠক নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য TV9 বাংলাকে বলেন, “এখনও তো বৈঠক চলছে। যতক্ষণ না বৈঠক শেষ হচ্ছে ততক্ষণ কোনও সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। ফলে বিষয়টি নিয়ে এখই মন্তব্য করা উচিত নয়। বৈঠকে সবাই নিজের ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন, সংবাদ মাধম্যে যেমনটা দাবি করা হচ্ছে সেভাবে পুরো বিষয়টা ব্যাখ্যা করা অনুচিত।”