Post Poll Violence: কতটা যুক্তিসঙ্গত NHRC রিপোর্ট? এবার কেন্দ্রকে নোটিস দিয়ে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট
Post Poll Violence: মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর। তার মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিয়ে গোটা মামলায় নিজের জবাব জানাতে হবে।
নয়া দিল্লি: আতিফ রশিদ, রাজীব জৈন, রজুলবেন এন দেসাই। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) প্রভাবিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) যে ৬ সদস্যের দল এসেছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই তিন জনও। আর এই তিন ব্যক্তিকে ওই কমিটিতে রাখা নিয়েই যাবতীয় আপত্তির কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। এ দিন আদালতে মামলাটির ফের একবার শুনানি শুরু হলে কেন্দ্রকে নোটিস দিয়ে কেন্দ্রের হলফনামা তলব করে শীর্ষ আদালত।
শুনানি চলাকালীন রাজ্যের প্রতিনিধি কপিল সিব্বল শীর্ষ আদালতকে জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট রাজ্যকে না দিয়েই বিস্ফোরক কিছু পর্যবেক্ষণ রাখে হাইকোর্ট। এমনকি, ধর্ষণের অভিযোগের কথা বলা হলেও নির্যাতিতার নাম রাজ্য সরকারকে জানানো হয়নি। এটা সত্যি যে এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে কোনও বেসরকারি সংস্থা নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে না। কিন্তু প্রশাসন বা সরকারই সেটা জানবে না এটা কী ভাবে সম্ভব? প্রশ্ন করেন সিব্বল।
বর্ষীয়ান আইনজীবী স্পষ্ট ভাষায় আদালতে বলেন, হিংসার মামলায় কেউ রাজ্যকে ভরসা করে না বলছে, কেউ বলছে পুলিশে ভরসা নেই। কারণ সবকিছুই একটি রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তা হলে একই যুক্তি কেন্দ্রের ক্ষেত্রে কেন প্রয়োগ করা হচ্ছে না? কেন্দ্রেও তো একটা রাজনৈতিক দল বসেই সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পরিচালনা করছে। বিজেপি না বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে দাবিই করা হোক না কেন, রাজ্য যে হিংসার ঘটনায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ সেই প্রমাণই বারবার করে এ দিন আদালতের সামনে দেওয়ার চেষ্টা করেন সিব্বল।
বিচারপতি বিনীত শরণের বেঞ্চ রাজ্যের বক্তব্য পুরোটা শোনার পর বলে, “দেখা যাক বাকিদের কী বক্তব্য। আগে বাকিদেরটা শুনে নেই। তারপর আপনারটাও শুনব।” এই বলে কেন্দ্রের বক্তব্য শুনতে চেয়ে নোটিস জারি করে হলফনামা জমা দিলে বলে আদালত। মামলাটির পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর। তার মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিয়ে গোটা মামলায় নিজের জবাব জানাতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটির তরফে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, মোট অভিযোগের মাত্র তিন শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। অথচ রাজ্যের বক্তব্য, গ্রেফতারির হার ৫৮ শতাংশ। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৪০০-র থেকেও বেশি মামলা রুজু হয়েছে বলে দাবি। এছাড়া আরও বলা হয়েছে, মোট অভিযুক্ত রয়েছে ৮ হাজার ১৫২। এদের মধ্যে গ্রেফতার, আত্মসমর্পণ কিংবা আদালতে জামিন পেয়েছে এমন সংখ্যা ৫ হাজার ১৫৮। পাশাপাশি ২ হাজার ৯৮৩ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে রাজ্য।
রাজ্যের বক্তব্য, মানবাধিকার কমিশনের এই ভুলে ভরা রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ফলে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই তদন্তের আদৌ কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে এই মামলা দায়ের করেছে রাজ্য।