Tony Abbott on WITT: পুতিন ‘স্বৈরাচারী’, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনেরও প্রবল সমালোচনা করলেন টনি অ্যাবট

ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে অ্যাবট বলেছেন, “ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র। ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা স্পেন ও জার্মানির থেকেও পুরনো। এখানকার সংবাদমাধ্যম আমেরিকার মতোই মুক্ত। এখানকার বিচার ব্যবস্থা ব্রিটেনের মতোই স্বাধীন।”

Tony Abbott on WITT: পুতিন ‘স্বৈরাচারী’, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনেরও প্রবল সমালোচনা করলেন টনি অ্যাবট
'WITT-র মঞ্চে টনি অ্যাবটImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 26, 2024 | 11:11 AM

নয়াদিল্লি: হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-র মঞ্চ থেকে চিনের প্রবল সমালোচনা করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। ভারতের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক টিভি৯ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তৃতা করেছেন অ্যাবট। সেখানেই ভারত এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। ভারতের গণতন্ত্র নিয়েও উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে অ্যাবটকে। তবে সেই সঙ্গে চিনের প্রবল সমালোচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি পুতিনকেও দিয়েছেন স্বৈরাচারীর অ্যাখ্যা।

ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে অ্যাবট বলেছেন, “ভারত বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র। ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা স্পেন ও জার্মানির থেকেও পুরনো। এখানকার সংবাদমাধ্যম আমেরিকার মতোই মুক্ত। এখানকার বিচার ব্যবস্থা ব্রিটেনের মতোই স্বাধীন।”

এর পরই তাঁর মুখে উঠে এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক বিষয়। কোয়াড গঠনের জন্য ভারত এবং জাপানের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি। কোয়াড যে মিলিটার জোট নয়, সে কথাও মনে করিয়েছেন। এর পরই চিনকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। চিনের দখলদারি মানসিকতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। ভারতও চিনের এই মানসিকতার ভুক্তভোগী বলে মনে করেন তিনি। তাইওয়ানকে চিন যেভাবে দখল করতে চায়, তা নিন্দা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “যখন চিনের চোখরাঙানির বিরুদ্ধে কেউ তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ায়, তার মানে এই নয়, সে চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমেরিকার পাশে দাঁড়াল। এর অর্থ বোঝায়, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো।” এই প্রসঙ্গেও পুতিনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। যদিও পশ্চিমী দুনিয়ায়র নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারত কেন রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে, তাও বোঝেন বলে জানিয়েছেন অ্যাবট। এর মধ্যে কোনও ভুল দেখছেন না তিনি। সেই সঙ্গে অ্যাবটের আশা, “চিন নয় ভবিষ্যতে এশিয়ার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠবে ভারত।”