‘কাকে দোষ দিচ্ছেন? মৃতের সংখ্যার হিসেব কে রাখে?’, বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

মঙ্গলবারই রাজ্যসভায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি। আর এই মন্তব্যে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে।

'কাকে দোষ দিচ্ছেন? মৃতের সংখ্যার হিসেব কে রাখে?', বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2021 | 10:47 AM

নয়া দিল্লি: অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোনও হিসেব নেই কেন্দ্রের কাছে। সোমবারই রাজ্যসভায় বিরোধীদের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন সাংসদ। আর তারপরই শুরু হয় বিরোধীদের সমালোচনা। কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সাংসদ। বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের সাফাই, ‘রাজ্যগুলি মৃতের সংখ্যার ঠিক মতো নথিভুক্তই করেনি। তাই মোদী সরকারকে দোষ দেওয়া ‘অহেতুক’ বলেই মনে করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাফ জবাব, মৃতের সংখ্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করা উচিৎ নয়। তিনি বলেন, ‘কাকে দোষ দিচ্ছে? কেন্দ্রকে দোষ দিচ্ছেন, মোদীজিকে দোষ দিচ্ছেন। কে মৃতের সংখ্যার হিসেব রাখে? রাজ্য। কে নথিভুক্ত করে? রাজ্য। কেউ তো তাদের হিসেব রাখতে নিষেধ করেনি। মোদীজি বলেছিলেন মৃতের সংখ্যার হিসেব বাদ পড়লে সেটাও জুড়ে দিতে।’ তাই নয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে দোষারোপ করার কোনও যুক্তি নেই।

এ দিকে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ কে সি বেনুগোপাল এই ইস্যুকে সরকারকে ‘অন্ধ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘অক্সিজেনের অভাবে কত কাছের মানুষের মৃত্যু দেখতে হয়েছে সবাইকে। এই সরকার অন্ধ।’ ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশ জুড়ে অক্সিজেনে হাহাকার নিয়ে সোমবারই রাজ্যসভায় প্রশ্ন রাখেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। তাঁর দাবি ছিল, পথে এবং হাসপাতালে বহু করোনা রোগীর প্রাণবায়ুর অভাবে মৃত্যু হয়েছে। তারই জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা রাজ্যের বিষয়। রাজ্য কিংবা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি করোনায় মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট দেয়। ভারতী প্রবীণ পাওয়ারের দাবি, ‘স্বাস্থ্য রাজ্যের বিষয়। মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরা নিয়ে যাবতীয় নির্দেশিকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে রয়েছে। তবে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু কোনও মৃত্যুর কথা কেউই জানায়নি।’ রাজ্যগুলির দাবি মতো কেন্দ্র অক্সিজেন সরবরাহ করেছে। তবে প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের চাহিদা অনেকটাই বেশি ছিল বলে সংযোজন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর। আরও পড়ুন: দুলছে বাড়িঘর, ঘুম চোখেই রাস্তায় বাসিন্দারা, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্প দেশের ৩ প্রান্তে