‘জিএসটি তুললে আরও দাম বাড়বে টিকার’, মমতার চিঠিকে ১৬ টুইটে বিঁধলেন নির্মলা
১৬টি টুইট করে মমতার সেই চিঠির পাল্টা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
নয়া দিল্লি: অতিমারি আবহে চিকিৎসা সরঞ্জাম, অক্সিজেন ও ওষুধকে করমুক্ত করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬টি টুইট করে সেই চিঠির পাল্টা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, দাম কম রাখতেই ভ্যাকসিনে ৫ শতাংশ ও ওষুধ-অক্সিজেন কনসেনট্রেটরে ১২ শতাংশ কর বসিয়েছে কেন্দ্র।
টুইট করে নির্মলা জানিয়েছেন, যদি জিএসটি সম্পূর্ণ তুলে নেওয়া হয়, তাহলে শুল্কে পরিবর্তন আসবে। যার ফলে ক্রেতার কাছে আরও বেশি দামে ভ্যাকসিন-ওষুধ পৌঁছতে বাধ্য হবে নির্মাতারা। নির্মলা সীতারামন টুইটে এ-ও জানিয়েছেন, করোনার ওষুধকে আগেই বিভিন্ন কর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। জিএসটি একেবারে হিসেব দিয়ে নির্মলা জানিয়েছেন, ১০০ টাকা জিএসটি নিলে ৭০ টাকারও বেশি পায় রাজ্য। তা ছাড়া টুইট করে আইজিএসটি থেকে বাদ পড়া ২৩টি পণ্যের তালিকা দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যেখানে রেমডেসিভির থেকে শুরু করে চিকিৎসার অক্সিজেনও রয়েছে।
1/ Hon. CM of West Bengal @MamataOfficial has written to the Hon @PMOIndia seeking exemption from GST/Customs duty and other duties and taxes on some items and COVID related drugs.
My response is given in the following 15 tweets.@ANI @PIB_India @PIBKolkata pic.twitter.com/YmcZVuL7XO
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) May 9, 2021
নির্মলার দাবি, ভ্যাকসিন থেকে প্রাপ্ত করের ৭০ শতাংশই পাচ্ছে রাজ্য। একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির ছবি পোস্ট করে ১৬ টুইটে বিষয়টি খোলসা করেছেন তিনি। এর আগেও করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি চিঠিতে অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপর রবিবার করমুক্তির এই চিঠির পাল্টা ‘বেনজির’ ১৬ টুইটে দিলেন নির্মলা।
উল্লেখ্য, সারা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক রাজ্যে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। অক্সিজেনের পর্যাপ্ত জোগান নেই একাধিক রাজ্যে। বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার অক্সিজেন জোগানে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। এই পরিস্থিতিতে মমতার এই চিঠি ও নির্মলার পাল্টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারই জোর কদমে করোনা রোখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও নামছে না সংক্রমণের পারদ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। বঙ্গে ও চড়ছে সংক্রমণের গতি। ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন।
আরও পড়ুন: উর্ধ্বমুখী করোনার পারদ, দিল্লিতে ফের বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ