Divorce Case: ‘স্ত্রীর রান্না না জানা কোনও নিষ্ঠুরতা নয়’, বিয়ে ভাঙতে চাওয়ার কারণ শুনে বলল হাইকোর্ট
Kerala High Court: আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্ত্রী যদি রান্না না জানে, তবে স্বামীকে রান্না করে না খাওয়াতে পারা কোনও অপরাধ নয়। রান্না না জানা এবং সেই কারণে রান্না করে খাওয়াতে না পারা কোনও 'নিষ্ঠুরতা' বলে গণ্য করা যায় না বলেই মনে করছে কেরল হাইকোর্ট।
কেরল: স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। তার মধ্যে একটি অভিযোগ ছিল, স্ত্রী নাকি রান্নাই জানে না। তাঁকে রান্না করে খাওয়াতে পারে না। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি অনিল কে নরেন্দ্রন ও বিচারপতি সোফি থমাসের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা উঠেছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্ত্রী যদি রান্না না জানে, তবে স্বামীকে রান্না করে না খাওয়াতে পারা কোনও অপরাধ নয়। রান্না না জানা এবং সেই কারণে রান্না করে খাওয়াতে না পারা কোনও ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে গণ্য করা যায় না বলেই মনে করছে কেরল হাইকোর্ট।
১১ বছর পেরিয়ে গিয়েছে তাঁদের বৈবাহিক জীবনের। ২০১২ সালের মে মাসে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। তখন তাঁরা থাকতেন ভিনদেশে। আবু ধাবিতে। স্বামীর অভিযোগ, বিভিন্ন ভাবে স্ত্রী তাঁকে অপমান করেন। এমনকী আত্মীয়-স্বজনদের সামনেও অপমানিত করতে ছাড়েন না। তাঁকে ঠিকঠাক সম্মান দেন না এবং সবসময় দূরত্ব তৈরি করে রাখেন বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, একবার নাকি এই অশান্তির মধ্যে স্বামীর অফিসেও যোগাযোগ করেছিলেন স্ত্রী। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে, তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এছাড়া, রান্না না করা ও শাশুড়ির সঙ্গে কারণে-অকারণে ঝগড়া করার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
পাল্টা অভিযোগ রয়েছে স্ত্রীরও। স্বামীর যৌন বিকৃতি ছিল এবং মাঝে মধ্যেই শারীরিক গঠন নিয়ে স্ত্রীকে তাচ্ছিল্য করত বলে অভিযোগ। স্বামীর মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও অভিযোগ স্ত্রীর।
স্বামীর অফিসে যোগাযোগেরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি আদালতে। মহিলার বক্তব্য, তিনি বৈবাহিক জীবন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে কী হয়েছে, তা জানতেই তাঁর অফিসে যোগাযোগ করেছিলেন বলে আদালতে জানান তিনি।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিবাহ বিচ্ছেদের ওই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। এই দম্পতি প্রায় ১০ বছর ধরে আলাদা থাকছেন। কিন্তু আদালত জানাচ্ছে, যেহেতু পর্যাপ্ত কোনও কারণ পাওয়া যাচ্ছে না বিবাহ বিচ্ছেদের, তাই একপক্ষ এককভাবে এই বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।