পড়ে রইল স্বামী-সংসার, ভাগ্নির প্রেমে পাগল মামী, মন্দিরেই করে ফেললেন সিঁদুরদান

Marriage: জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে মামী ও ভাগ্নির মধ্যে পরকীয়া চলছিল পুরোদমে। এই তিন বছরে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কখনও গোপনে, কখনও বাড়িতে দেখা করতেন। মামী-ভাগ্নির সম্পর্ক হওয়ার কেউ সন্দেহের চোখে দেখত না।

পড়ে রইল স্বামী-সংসার, ভাগ্নির প্রেমে পাগল মামী, মন্দিরেই করে ফেললেন সিঁদুরদান
মামি ও ভাগ্নী
Follow Us:
| Updated on: Aug 13, 2024 | 7:53 AM

বিহার: বিয়ের পর সংসার করছিলেন গৃহবধূ। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হল প্রেম। স্বামী নয়, অন্য কারও প্রেমে পড়ে গেলেন তিনি। তৈরি হল সম্পর্ক। অবশেষে বিয়েই করে ফেললেন তাঁরা। আসলে ভাগ্নির প্রেমে পড়েছিলেন ওই গৃহবধূ। আর তাঁর জন্যই স্বামী, সংসার সব ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। অবশেষে মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তাঁরা। নিয়ম মেনে হল মালাবদল, সিঁদুরদান। সারাজীবন একে অপরের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিও দিলেন তাঁরা। পরিবারকেও বিয়ের খবর দিয়েছেন তাঁরা।

বিহারের গোপালগঞ্জের কুচায়কোট থানা এলাকার বেলওয়া গ্রামের ঘটনা। প্রেমের সম্পর্কটা দু’দিনের নয়। জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে মামী ও ভাগ্নির মধ্যে পরকীয়া চলছিল পুরোদমে। এই তিন বছরে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কখনও গোপনে, কখনও বাড়িতে দেখা করতেন। মামী-ভাগ্নির সম্পর্ক হওয়ার কেউ সন্দেহের চোখে দেখত না। কিন্তু তাঁদের ভয় ছিল কেউ যদি প্রেমের কথা জানতে পারে, তবে তাঁরা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। তাই একসঙ্গে বাঁচার শপথ নিলেন তাঁরা। স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই সারাজীবন একসঙ্গে কাটাবেন দুই নারী।

শাসামুসার দুর্গা ভবানী মন্দিরে গিয়ে মামী-ভাগ্নি বিয়ে করেছেন। সাত পাক ঘোরার পর পর গলায় মঙ্গলসূত্র পরে নেন তাঁরা। কপালে সিঁদুরও লাগানো হয়। দু’জনেই মন্দিরে দাঁড়িয়ে শপথ নেন। বলেন, ‘শুধু এই জন্মেই নয়, সাত জন্মই এভাবেই একসঙ্গে থাকব।’

ভাগ্নি জানান, প্রথমে তাঁরা ছিলেন একে অপরের বন্ধু। তারপর একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করেন। পরিবারের লোকজন ভাগ্নির জন্য ছেলে খুঁজছিল। ভয় ছিল তাঁর বিয়ে হয়ে যেতে পারে। তাই আর কিছু ভাবেননি তাঁরা। দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।