Woman strangled newborn: স্তন্যপান করানোর সময় সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন মায়ের, কারণ কী?

Woman strangled newborn: মহিলার বক্তব্য শুনে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। পুলিশ জানিয়েছে, যখন সদ্যোজাতর খোঁজ চলছে, সেইসময় ওই মহিলা জানান, সেলাই কাটার জন্য তাঁকে হাসপাতালে যেতে হবে। এইরকম পরিস্থিতিতে তাঁর কথা শুনে পুলিশকর্মীরা হতভম্ব হয়ে যান। তবুও তাঁকে যেতে দেন।

Woman strangled newborn: স্তন্যপান করানোর সময় সদ্যোজাতকে শ্বাসরোধ করে খুন মায়ের, কারণ কী?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Sep 01, 2024 | 6:36 PM

নয়াদিল্লি: প্রথম তিন সন্তান মেয়ে। চতুর্থ সন্তানও মেয়ে হয়েছে। সদ্যোজাত সেই কন্যাসন্তানকেই স্তন্যপান করানোর সময় শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি দিল্লির। সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। এবং খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে পশ্চিম দিল্লির খয়ালা পুলিশ স্টেশনে একটি ফোন আসে। বলা হয়, ৬ দিনের এক কন্যাসন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়েই পৌঁছে যায় পুলিশ। ওই কন্যাসন্তানের মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বছর আঠাশের ওই মহিলা জানান, সন্তানের জন্মের পর বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এবং বাপের বাড়ি যান। তিনি দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে সদ্যোজাতকে কন্যাকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর পর ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে পাশে কন্যাসন্তানকে দেখতে পাননি।

মহিলার বক্তব্য শুনে পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। পুলিশ জানিয়েছে, যখন সদ্যোজাতর খোঁজ চলছে, সেইসময় ওই মহিলা জানান, সেলাই কাটার জন্য তাঁকে হাসপাতালে যেতে হবে। এইরকম পরিস্থিতিতে তাঁর কথা শুনে পুলিশকর্মীরা হতভম্ব হয়ে যান। তবুও তাঁকে যেতে দেন।

তল্লাশির সময় পাশের বাড়ির ছাদে একটি ব্যাগ পায় পুলিশ। তার মধ্যেই ছিল সদ্যোজাত। পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা সদ্যোজাত ওই কন্যাসন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই ওই কন্যাসন্তানের মায়ের ব্যবহার সন্দেহজনক লাগে পুলিশের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখনই কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলা। সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করেন। মহিলা জানান, তাঁর চার সন্তানই কন্যা। তার মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, চার সন্তানই কন্যা হওয়ায় নানা কথা শুনতে হত ওই মহিলাকে। সেইসব চিন্তা তাঁর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। তার জেরেই স্তন্যপান করানোর সময় কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। কিন্তু, ভয়ে বাড়ির লোককে জানাতে পারেননি। মৃতদেহ ব্যাগে ভরে পাশের বাড়ির ছাদে ফেলে দেন। আর সকালে উঠে সবাইকে জানান যে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার বক্তব্য কতটা ঠিক, তা জানা যাবে মৃত কন্যাসন্তানের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর। মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)