Extramarital Affairs: পরকীয়াই কেড়ে নিল ৪ প্রাণ! বাদ পড়ল না শিশুও
Extramarital Affairs: প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতে থাকেন ইন্দ্রপাল। সেই সন্দেহ থেকেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।
কানপুর: পরকীয় জড়িয়েছে স্ত্রী। এমনটাই সন্দেহ ছিল স্বামীর। আর তাতেই স্ত্রী-সহ দুই সন্তানকে খুনে করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। শনিবার জেলার হাজিপুর গ্রামে ঘটে গিয়েছে এই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার আচমকা স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেকে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন ইন্দ্রপাল ইশাদ নামে গ্রামেররই এক যুবক। খানিক পরে তিনজনকেই গলা কেটে হত্যা করে সে। এরপর নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করে।
এদিকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে ইন্দ্রপালের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। ততক্ষণে সব শেষে। একসঙ্গে চারটি মৃতদেহ দেখে হতবাক হয়ে যান সকলে। খবর যায় পুলিশে। ছুটে আসেন পুলিশের বড় কর্তারা। আসে ফরেনসিক দল। ঘটনায় ইন্দ্রপাল-সহ প্রাণ গিয়েছে স্ত্রী নিশা (৩৬), ছেলে প্রবেশ (১২), মেয়ে জাহ্নবীর (৮)। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন ইন্দ্রপালের ভাই ও বাবা দূরে আলাদা বাড়িতে থাকেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্দ্রপাল গুজরাটের সুরাটে একটি শাড়ি তৈরির কারখানায় কাজ করতেন। সে কারণে বাড়িতেও বেশিরভাগ সময় থাকতেন না তিনি। গ্রামে এসেছেন মাত্র দিন চারেক আগে। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন গ্রামে আসার পর থেকেই স্ত্রীর উপর সন্দেহ বাড়তে থাকে তাঁর।
প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতে থাকেন ইন্দ্রপাল। সেই সন্দেহ থেকেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে ওই গ্রামে আসেন আইজি কানপুর প্রশান্ত কুমার, এএসপি রাজেশ কুমার পাণ্ডে। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার পিছনে পরকীয়ার সন্দেহ ছাড়া আর কোনও কারণ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এদিকে একযোগে চারজনের মৃ্ত্যুতে শোকের ছায়া গোটা গ্রামেই।