Zika Virus: নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি জ়িকায়, তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে ১৭ শিশুর সংক্রমণ
Zika Virus in Kanpur: উত্তর প্রদেশে জ়িকার সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলছে। আতঙ্ক বাড়তে শুরু করে কানপুর সহ আশেপাশের এলাকাগুলিতে।
কানপুর : গত কয়েক দিন ধরে কানপুরে ক্রমশ বাড়ছে জ়িকা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সোমবার কিছুটা আশার খবর শোনালেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি এই ভাইরাসে। এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯। তবে উদ্বেগের বিষয় হল, আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জনই শিশু।
গত মাসে কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সেই দল দিল্লি ফিরে এসেছে বলে সূত্রের খবর। কানপুরের জেলাশাসক বিশাখ জি জানিয়েছেন, জ়িকা সংক্রমণ রুখতে বিশেষ প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা।
তবে যে ৮৯ জন আক্রান্ত এই ভাইরাসে, তাদের মধ্যে রয়েছে ১৭ জন শিশু। রয়েছেন একজন গর্ভবতী মহিলাও। তাঁর প্রতি বিশেষ নজর রেখছেন চিকিৎসকেরা।
এখনও অবধি মোট ৮৯ জন জ়িকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জনেরই বয়স ২১ বছরের নীচে। ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন মহিলা সহ মোট ১২ জন আধিকারিক জ়িকায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।”
জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই বৃহস্পতিবার থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছিল। শনিবার অবধি মোট ৫২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের দলগুলি। এই নমুনা লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ও পুণের ন্য়াশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটির তিন কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে যারা বসবাস করেন, তাদের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত অক্টোবরের ২৩ তারিখ কানপুরে প্রথম জ়িকা ভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলে। ভারতীয় বায়ুসেনার এক ওয়ারেন্ট অফিসার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নমুনা সংগ্রহ করে লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ও পুণের ন্য়াশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
মশা দ্বারা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, সেই কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি জানান, সংক্রমণ যাচাই করতে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের দলগুলি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মশার লার্ভাদমন থেকে শুরু করে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিতকরণ, গুরুতর অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার অভিযানও শুরু করা হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতেও বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Mukesh Ambani House Antilia: আম্বানির বাড়ি খোঁজখবর নিল কারা? কড়া নিরাপত্তায় মুড়ল রিলায়েন্স-কর্তার বাড়ি