Ration Scam: ১০ হাজার কোটির দুর্নীতি রেশনে, বালুর পর এবার আরও বড় নাম উঠে আসতে চলেছে?
ED: শুক্রবার বিশেষ ইডি আদালতে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্যদের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেই আদালতে তদন্তকারী অফিসার এবং ইডির সরকারি আইনজীবী জানান, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু জেলে। এই আবহে এবার আদালতে রেশন-মামলায় ১০ হাজার কোটির দুর্নীতির কথা জানাল ইডি। এর মধ্যে ১ হাজার কোটির মালিকানাও জেনে গিয়েছে তারা। তবে রেশন দুর্নীতির ৯ হাজার কোটি টাকায় এবার নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
শুক্রবার বিশেষ ইডি আদালতে বিচারকের সামনে ইডির আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসার ব্যাখ্যা করে বলেন, রেশন দুর্নাীতি মামলায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর মধ্যে বাকিবুর রহমানের সংস্থা এনপিজি রাইসমিল ১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। বাকি ৯ হাজার কোটির দুর্নীতি করেছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা আরও একাধিক রাইস ও আটা মিল। সেই ৯ হাজার কোটির দুর্নীতি কীভাবে হল? কাদের মাধ্যমে হল সেই দুর্নীতি? সেই টাকাই বা কোথায় গেল, এখন ইডি তাদেরই খুঁজে বেড়াচ্ছে।
শুক্রবার বিশেষ ইডি আদালতে রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্যদের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সেখানেই আদালতে তদন্তকারী অফিসার এবং ইডির সরকারি আইনজীবী জানান, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ১০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু ১ হাজার কোটির হিসাব মিললেও বাকি ৯ হাজার কোটির দুর্নীতির মাথা কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। অর্থাৎ এতদিন বাকিবুরের মিলগুলি ছিল তদন্তকারীদের নজরে, এবার এমন আরও বাকিবুরের খোঁজ মিলতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
প্রসঙ্গত, বাকিবুরকে জেরা করে উঠে এসেছিল বালুর নাম। এরপর তাঁর গ্রেফতারি, বিচারাধীন বন্দি হিসাবে জেলে থাকা। আবারও নতুন কোনও মোড়ের দেখা মিলবে কি না, তা নিয়ে এবার জোর চর্চা শুরু।