Primary Teacher: পুজোর আগে ‘বেকারত্বের জ্বালা’ মিটল বিনীতাদের, চাকরি পেলেন ১৮৫ জন
Primary Recruitment: চাকরি পাওয়ার পর সেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়োগপ্রার্থীদের চোখেমুখে। তাঁদেরই একজন বিনীতা রায় চৌধুরী। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগেই হাসি ফুটল ১৮৫ জনের মুখে। ১৯ সেপ্টেম্বর ১৮৭ জনকে ডাকা হয়েছিল ইন্টারভিউয়ের জন্য। তাঁদের মধ্যে ১৮৫ জন শুক্রবার চাকরি পেয়েছেন। আদালতের গুঁতোয় জোরকদমে কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পুজোর আগে বেকারত্বের জ্বালা মেটায় খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। মিলল সামাজিক স্বীকৃতি। চাকরি পাওয়ার পর সেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়োগপ্রার্থীদের চোখেমুখে। তাঁদেরই একজন বিনীতা রায় চৌধুরী। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
পুজোর আগে এই চাকরি তাঁদের কাছে উপহারের থেকে কম কিছু নয়। বিনীতা বলছেন, লড়াইটা খুব কঠিন ছিল। পাঁচ বছরের লড়াই এটা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হলাম, এটাই আনন্দের। তবে অনেকগুলি বছর নষ্ট হয়ে গেল। আদালতের নির্দেশের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে যে এত দ্রুততার সঙ্গ যে ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাতে অত্যন্ত খুশি তাঁরা। বিনীতা বলছেন, “আমরা ভীষণ খুশি। পুজোর আগে এই যে বেকারত্বের জ্বালা মিটল… তাতে আমরা খুশি। পুজোর সময় অনেকেই আমাদের জিজ্ঞেস করত, কোনও চাকরি করি কি না। তখন বলত হত, কিছুই করি না। এবার পুজোটা আমাদের খুব ভাল কাটবে।”
একে তো বেকারত্বের জ্বালা, তার উপর অনেক সময় অনেক রকমের বক্রোক্তিও শুনতে হত চাকরি না পাওয়া নিয়ে। সেই সব এখন আর শুনতে হবে না ওদের। আর সঙ্গে পরিবারের উপর থেকে চাপও কমল কিছুটা। সব মিলিয়ে এতদিনের লড়াই, সংগ্রামের কথা যেন বার বার ঘুরে ফিরে আসছে ওদের কথায়।
বিনীতা বীরভূম থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। মাঝে অনেকগুলি বছর কেটে গিয়েছে। এখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে বিনীতার। এখন তিনি আর বীরভূমের বাসিন্দা নন, কলকাতায় থাকেন। সেই সব ঝক্কি তো রয়েছেই। কিন্তু তারপরও এতদিনের লড়াই শেষে যুদ্ধজয়ের আনন্দের কাছে সেই সব ঝক্কির কথা যেন আর ভাবতেই চাইছেন না বিনীতা। এখন তাঁর চোখেমুখে শুধুই যুদ্ধজয়ের হাসি।