Partha-Arpita: বেলঘরিয়া, বোলপুরের পর সোজা থাইল্যান্ডে ‘অপার’ বাংলো! কীভাবে করলেন, নথি ED-র হাতে?

Partha-Arpita: চার্জশিটে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। শুধু কলকাতা বা বোলপুর নয়, অপার সম্পত্তি রয়েছে দেশের বাইরেও! হদিশ পেয়েছে ইডি।

Partha-Arpita: বেলঘরিয়া, বোলপুরের পর সোজা থাইল্যান্ডে 'অপার' বাংলো! কীভাবে করলেন, নথি ED-র হাতে?
থাইল্যান্ডে রয়েছে অপার সম্পত্তি!
Follow Us:
| Updated on: Sep 23, 2022 | 5:40 PM

কলকাতা: ভারতীয়দের কাছে এক ‘রোমান্টিক ডেস্টিনেশনে’র নাম থাইল্যান্ড। স্বচ্ছ নীল সমুদ্র, পাহাড়ের গা বেয়ে নৌকা ভ্রমণ, সে যেন এক স্বপ্নের রাজ্য। সেখানেই কি জীবন কাটানোর পরিকল্পনা ছিল ‘অপা’র? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পেশ করা চার্জশিটে এমন তথ্যই সামনে আসছে। টলিগঞ্জ, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট, শান্তিনিকেতনের বাংলো দেখেই যখন আমজনতার চোখ কপালে উঠেছে, তখন চার্জশিটে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। থাইল্যান্ডেও সম্পত্তি ছিল অর্পিতার!

আগেই জানা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরে নাকি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পার্থর সঙ্গী হয়েছিলেন অর্পিতা। আর এবার জানা গেল থাইল্যান্ডেও বেশ কয়েকবার গিয়েছেন। পার্থর অন্যতম শেল কোম্পানি সিম্বায়োসিস ট্রেডার্সের ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য পেয়েছে ইডি। পার্থ ও অর্পিতার সঙ্গে একাধিকবার ভ্রমণসঙ্গী হয়েছেন এই স্নেহময়। পার্থর খরচেই তিনি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

ইডি জানতে পেরেছে, ২০১৪-১৫ সালে এক সংস্থার আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। সঙ্গে ছিলেন অর্পিতা। স্বাভাবিকভাবেই অর্পিতার সব খরচ বহন করেছিলেন পার্থই। শুধু তাই নয়, থাইল্যান্ডে নাকি বাংলোও কিনেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তার অর্ধেক মালিকানা অর্পিতা। তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে ইডির হাতে।

ইডি সূত্রে খবর, পার্থ ও অর্পিতার বাড়ি থেকে যে সব নথি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে তাঁদের থাইল্যান্ড ভ্রমণের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন অপা ইউটিলিটি সার্ভিস নামে পার্থর সংস্থার নামে রিয়েল এস্টেটে অনেক বিনিয়োগ হয়েছে। থাইল্যান্ডের সম্পত্তিও এই সংস্থার মাধ্যমে কেনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থকে জেরা করে এই সব সম্পত্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেও কোনও সদুত্তর দেননি তিনি। স্নেহময়কে জেরা করতেই আসল তথ্য সামনে আসে। চার্জশিট অনুযায়ী, স্নেহময় জানিয়েছেন, কালো টাকা সাদা করতে এ ভাবেই শেল কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করতেন প্রাক্তন মন্ত্রী। বিদেশে বাংলো কেনার ব্যাপারে স্নেহময়ের বড় ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে এই সম্পত্তি নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় কি না, সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, শুধু সিঙ্গাপুর বা থাইল্যান্ড নয়, পার্থ ও অর্পিতার গোয়া ভ্রমণের তথ্যও এসেছে ইডি আধিকারিকদের হাতে। আর কলকাতা ও শহরতলী জুড়ে তাঁরা যে প্রায়ই গাড়ি চেপে নৈশভ্রমণে বেরতেন, সে তথ্যও আগেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।