Presidency University : প্রেসিডেন্সির হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হল দুই পড়ুয়াকে, দারোয়ানদের সঙ্গেই রাত্রিবাস, উত্তেজনা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে
Presidency University: ওই দুই পড়ুয়ার সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও যোগ না থাকলেও, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক। সেই কারণেই তাঁদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ টিএমসিপির। এই নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে এসএফআইয়ের বচসা বাধে।
কলকাতা : প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে বচসা। আর তাই ঘিরেই উত্তেজনা ছড়াল বুধবার বিকেলে। তৃণমূলের অভিযোগ, কোচবিহারের বাসিন্দা দুই জন ছাত্রকে গতকাল রাতে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ব্যাগ-পত্র সহ রাতে তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বক্তব্য, ওই দুই পড়ুয়া গতরাতে দারোয়ানদের সঙ্গে রাত কাটায়। ওই দুই পড়ুয়ার সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোনও যোগ না থাকলেও, তাঁরা তৃণমূলের সমর্থক। সেই কারণেই তাঁদের হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ টিএমসিপির। এই নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে এসএফআইয়ের বচসা বাধে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা বুধবার প্রেসিডেন্সির ডিনের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেই সময়ে ওই দুই ছাত্রও যখন ডিনের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। তখনও তাদের ঘিরে ধরে এসএফআইয়ের পড়ুয়ারা। এমনকী সুদীপ রাহা যখন ডিনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন, তাঁকে ঘিরে ধরা হয়েছিল। এর জেরে দুই পক্ষের পড়ুয়াদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও দুই পক্ষ এখনও বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরেই অবস্থান করছে।
যদিও এসএফআইয়ের দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই দুই পড়ুয়াকে এসএফআইয়ের থেকে হোস্টেলে জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু ওই দুই পড়ুয়া হোস্টেলের আবাসিক নন, তাই তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করতে কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু এসএফআইয়ের বক্তব্য, এই দুই ছাত্রের বলছে, তাদের এখনই থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এমন অনেক ছাত্রই হোস্টেলে থাকার জন্য বলেন, যাঁরা হোস্টেলের আবাসিক নন। এমন ছাত্রের তালিকায় আছে অনেক। সেখানে দুই জন পড়ুয়া যদি এখনই থাকার ব্যবস্থা করার কথা বলেন, তা কীভাবে সম্ভব হবে? প্রশ্ন এসএফআইয়ের। এর পাশাপাশি, তৃণমূলের সমর্থক হওয়ার কারণেই ওই দুই পড়ুয়াকে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তারও কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলেই জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন : Teacher Transfer: শিক্ষক বদলির ‘দাম’ ১ লাখ ২৫ হাজার! এজলাসে অডিয়ো রেকর্ডিং শুনলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়