21 July Kalighat: আজ কালীঘাটে অন্য ছবি, মায়ের থেকে ‘দিদি’র বাড়ির সামনে ভিড় বেশি
21 July Kalighat: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে কড়া পুলিশি প্রহরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, যাতে একুশের মঞ্চে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের কোনও অসুবিধা না হয়। তাই তাঁরা যাঁরা মমতার বাড়ি দেখতে এসেছেন, তাঁদেরও বিশেষ ব্যবস্থা করে দেয় পুলিশ।
কলকাতা: তিনি নেত্রী, তিনি তাঁদের কাছে মাতৃসম। তাঁর বার্তা শুনতেই এক ডাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে মানুষ আসেন কলকাতায়। গন্তব্য ধর্মতলায় একুশের মঞ্চ। কিন্তু এই দিনটায় ধর্মতলা চত্বরে যেমন লাখো মানুষের ভিড় হয়, তেমনি ভিড় জমে কালীঘাটেও। কারণ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখতে যাচ্ছেন। সেটাও একটা দর্শনীয় স্থান। কালীঘাটের মন্দির নয়, কালীঘাটে মমতার বাড়ি দেখতেই ভিড় করছেন কর্মী সমর্থকরা। কার্যত যেন কালীঘাটের মন্দিরের বাইরের থেকে ভিড় মমতার বাড়ির সামনেই। কেবল সেই বাড়ি দেখবেন বলেই।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে কড়া পুলিশি প্রহরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বার্তা দিয়েছিলেন, যাতে একুশের মঞ্চে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের কোনও অসুবিধা না হয়। তাই তাঁরা যাঁরা মমতার বাড়ি দেখতে এসেছেন, তাঁদেরও বিশেষ ব্যবস্থা করে দেয় পুলিশ।
এক মহিলা কর্মী বললেন, “হ্যাঁ এর আগেও এসেছিলাম, দিদির বাড়ি থেকে দেখতে। ওতটা দূর থেকে দেখেছিলাম, ভাল করে দেখতে পাইনি। তাই এবছর আবার এসেছি। ” বাঁকুড়া জেলা থেকে এসেছেন আরেক কর্মী। তিনি বলেন, “এসেছে ধর্মতলায় যাব বলে। কিন্তু তার সঙ্গে ম্যাডামের বাড়ি দেখারও ইচ্ছা ছিল। মায়ের পুজোও দিলাম।”
‘দিদি’ কেমন ভাবে থাকেন, তাঁর সধারাণ জীবনযাপন কর্মী সমর্থকদের কাছে একটা অত্যন্ত আগ্রহের বিষয়। এক কর্মী বললেন, “আমি অনেকবার কলকাতা এসেছি। ধর্মতলা গিয়েছি। কিন্তু দিদির বাড়ি দেখিনি। দিদি তো আমাদের কাছে দেবী, তাই দেবীর বাড়ির দর্শন করে গেলাম।”