Dengue Death: ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু, আরও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি
Dengue Death: শুধুমাত্র কলকাতা নয়, একাধিক জেলায় বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: করোনা আতঙ্কে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে ঘুম উড়েছিল সাধারণ মানুষের। মৃত্যু মিছিল দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সেই ভয় থেকে কিছুটা স্বস্তি মিললেও, সম্প্রতি কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরাও। শুধু সংক্রমণ নয়, মৃত্যুর খবরও সামনে আসছে। মৃতদের মধ্যে অনেকেরই বয়স ৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল তিনজনের। রাজ্য জুড়ে সতর্কতামূলক প্রচার, প্রশাসনিক স্তরে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনও লাভ হচ্ছে না।
সোমবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সাফাইকর্মী বুবাই হাজরার। বছর ৩০-এর ওই ব্যক্তি গত ১ নভেম্বর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এনআরএসে ভর্তি হন। সোমবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভারে মৃত্যু হয় সাফাইকর্মীর। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়েছিল বাবলুর। তাঁর পাঁচ মাসের এক শিশুকন্যা রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আবু শাহিদ মহলাদার নামে আরও এক ব্যক্তির। তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে গত ২ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
এছাড়া ৩৬ বছরের সোমনাথ দে নামে এক ব্যক্তিরও মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে। তিনি রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দা। সোমবার সকাল ৯ টা ৩৫ মিনিটে সেপটিক শকে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রিঙ্কি দাস নামে ৩১ বছর বয়সী এক মহিলার মৃত্যু হয়। তিনি ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাওড়ার বাসিন্দা রিঙ্কি দাসের মৃত্যুর শংসাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও নিউমোনিয়ার।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গিতে কার্যত মৃত্যু মিছিল চলছে। সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে। সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী ও সন্তানও ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, করোনার জেরে মানুষের শরীরে যে প্রভাব পড়েছে, তার জেরেই মৃত্যুর প্রবণতা বাড়ছে। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন।