Maheshtala: বিয়েবাড়ি গিয়ে আর ফেরা হল না ছোট্ট মেয়েটার, সানাইয়ের সুর নিমেষে বদলে গেল বিষাদে
Child Death: চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া আরতি কুমারী নামে ওই ছোট্ট মেয়েটি পিসির বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল। বাড়ির সামনেই একটি পুকুর রয়েছে। বাকি বোনেদের সঙ্গে ওই পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল আরতিও। কিন্তু সে সাঁতার জানত না।
মহেশতলা: বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে আর ফেরা হল না ন’বছরের আরতির (Child Death)। জলে ডুবে মৃত্যু হল তার। ঘটনাটি মহেশতলা (Maheshtala) থানা এলাকার সোনামুখী দাসপাড়ার রামকৃষ্ণ সরণি এলাকার। জানা যাচ্ছে, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া আরতি কুমারী নামে ওই ছোট্ট মেয়েটি পিসির বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিল। বাড়ির সামনেই একটি পুকুর রয়েছে। বাকি বোনেদের সঙ্গে ওই পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল আরতিও। কিন্তু সে সাঁতার জানত না। পুকুরে স্নান করার সময় হঠাৎই জলে ডুবে যায়। গোটা ঘটনাটি ঘটে যায় সবার অগোচরে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলে তলিয়ে যায় আরতি। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের বাসিন্দারা জলে ঝাঁপ দিয়ে তুলে আনে তাকে। শরীরে ঢুকে যাওয়া জল বের করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু কোনও লাভ না হওয়ায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় আরতির।
জানা যাচ্ছে, আরতিরা বিহারের বাসিন্দা হলেও এখানে মোমিনপুর এলাকায় থাকত। আজ সকালেই সোনামুখী দাসপাড়ায় বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে এসেছিল সপরিবারে। বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। সবাই কাজে ব্যস্ত। আর এই সুযোগেই সবার নজরের আড়ালে আরতি ও বাকি বোনেরা নেমে পড়েছিল বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে। ঘড়িতে তখন বেলা প্রায় সাড়ে দশটা। আর তাতেই নিমেষের মধ্যে ঘটে যায় এই বিপত্তি। সঙ্গে সঙ্গে একজন ব্যক্তি পুকুরে ঝাঁপ দেন আরতিকে টেনে তোলার জন্য। ততক্ষণে অনেকটা ডুবে গিয়েছিল সে। ওই ব্যক্তির পায়ে আরতির দেহ ঠেকলে, তিনি আরতিকে টেনে তুলে আনেন পুকুরের পাড়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু। গোটা ঘটনায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
যে বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে চারিদিকে আনন্দের সুর থাকার কথা, সেই বাড়িকেই এক লহমায় গ্রাস করেছে নিস্তব্ধতা। শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীরাও। বিয়েবাড়িতে এসে ছোট্ট মেয়ের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তাঁরাও।