Calcutta High Court: প্রাণনাশের হুমকি তৃণমূল নেতার, স্কুলে ঢোকাই দায়! মামলায় কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Calcutta High Court: ২০১১ সালে বীরভূমের মহম্মদবাজারের তেঁতুলবেড়িয়া জুনিয়র হাইস্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া। পরে তিনি ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা টিচার-ইনচার্জ হন।

Calcutta High Court: প্রাণনাশের হুমকি তৃণমূল নেতার, স্কুলে ঢোকাই দায়! মামলায় কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2023 | 4:21 PM

কলকাতা: স্কুলে ঢুকতে বাধা শিক্ষককে! স্কুলে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ শিক্ষকের। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি লিখেছিলেন ওই শিক্ষক। সেই মামলায় এবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে তলব করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। স্কুলের পরিচালন কমিটির সেক্রেটারির হাজিরা নিশ্চিত করতে বীরভূমের (Birbhum) পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। আগামী ৮ মে হাজিরা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

২০১১ সালে বীরভূমের মহম্মদবাজারের তেঁতুলবেড়িয়া জুনিয়র হাইস্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া। পরে তিনি ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা টিচার-ইনচার্জ হন। ওই শিক্ষকের অভিযোগ, ২০১৬ সাল নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির স্বঘোষিত সভাপতি রাজারাম ঘোষ এবং একজন রেশন ডিলার গিয়াসউদ্দিন বিদ্যালয়ের জমিতে অবৈধ নির্মাণের চেষ্টা করেন। সম্মতি না দেওয়ায় গন্ডগোল শুরু হয় বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল তাঁকে! শিক্ষকের দাবি, গুলি করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

২০১৯ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষক। তাঁর দাবি, ২০১৭ সালের দুর্গাপুজোর পর থেকে আর স্কুলে ঢুকতে পারছেন না তিনি। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও মামলায় দাবি করেছেন। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও নাকি কোনও ফল হয়নি।

সৌমেন্দ্রনাথ মিয়া নামে ওই শিক্ষক তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বীরভূমের জেলাশাসককেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি।