Calcutta High Court: কোর্ট অফিসারদের টপকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একেবারে সামনে, হাতে ধরালেন চিরকুট!
Calcutta High Court: হঠাৎ করে এক ব্যক্তি এজলাসের কোর্ট অফিসারদের টপকে পৌঁছে যান একেবারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আসনের সামনে। যেখানে কেবল কোর্ট অফিসারদেরও প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। বিচারপতির হাতে এক টুকরো চিরকুট ধরিয়ে দেন। চোখের নিমেষে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি।
কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস। ব্যস্ত আদালত। একের পর এক মামলার শুনানি। প্রাথমিকের একটি মামলার শুনানি সবে শেষ হয়েছে। দুপুরের বিরতির সময় হয়েছে। সবে আসন ছেড়ে উঠতে যাবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর এরই মধ্যে এক তাজ্জব কাণ্ড। হঠাৎ করে এক ব্যক্তি এজলাসের কোর্ট অফিসারদের টপকে পৌঁছে যান একেবারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আসনের সামনে। যেখানে কেবল কোর্ট অফিসারদেরও প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। বিচারপতির হাতে এক টুকরো চিরকুট ধরিয়ে দেন। চোখের নিমেষে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। গোটা ঘটনাটি এতটাই অতর্কিতে ঘটে যায় যে কেউ ওই ব্যক্তিকে থামানোর সুযোগ পাননি।
ঘটনার আকস্মিকতায় একেবারে হতবাক হয়ে যান এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী থেকে শুরু করে সক্কলে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। বিচারপতির নিরাপত্তার কারণে ওই ব্যক্তিকে এজলাসের বাইরে নিয়ে যান এক পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু কী এমন লেখা ছিল ওই চিরকুটে? জানা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে খুঁজছিলেন। চিরকুটে সেই কথাই লেখা ছিল, ‘আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল কোথায়?’ ওই ব্যক্তি জানান, তিনি বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আইনজীবীকে খুঁজছেন। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না।
হঠাৎ করে ওই ব্যক্তির এমন কাণ্ডে কিছুটা বিরক্তই হন বিচারপতি। বলেন, ‘আমি কীভাবে বলব? এখান থেকে কি জানানো হয়? আপনি আইনজীবীদের বলুন। ওঁরা বলতে পারেন।’ কিন্তু তারপরও থামার পাত্র নয় ওই ব্যক্তি। বিচারপতিকে তিনি আবার বলেন, ‘আপনি একটু বলুন না। ভাল হয়। আমি অনেক খুঁজেছি। পাচ্ছি না।’ এদিকে ততক্ষণে হাইকোর্টের শেরিফ পৌঁছে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। বিচারপতি ওই ব্যক্তিকে ধমক দেন, তিনি এই ধরনের কাজের জন্য গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন। এজলাসের বাইরেও তখন এক পুলিশ আধিকারিক পৌঁছে গিয়েছিলেন। শেষে ওই ব্যক্তিকে এজলাস থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজলাস থেকে বেরনোর সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে চিকিৎসক বলেও দাবি করেন। এদিকে এজলাসে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি তাঁকে দীর্ঘক্ষণ একটি চেয়ারে বসে থাকতে দেখেছেন বলে জানা যাচ্ছে। চুপচাপই ছিলেন তখন। সেই সময় ওই ব্যক্তিকে কাউকে কোনও প্রশ্ন করতে দেখা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।