মমতাকে জয়ের শুভেচ্ছা আব্বাসের, হিংসা নিয়ে ফোটালেন ‘কাঁটা’
ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর এ দিন একটি ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে মুখ খোলেন আব্বাস। মমতার পাশাপাশি জয়ের জন্য তিনি শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল কর্মীদেরও।
ভিডিয়ো বার্তায় এ দিন আব্বাস বলেন, “মানুষের সমর্থনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্য সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন, আমরা গণতন্ত্রের রায়কে সন্মান ও শ্রদ্ধা করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাই।” এর পাশাপাশি সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে নউশাদ সিদ্দিকিকে জয়ী করাবার জন্য ভাঙ্গড়ের মানুষকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। তবে এরপরই ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ টেনে শাসকদলে একহাত নেন আব্বাস।
ভোটে জেতার পরও কেন জায়গায় জায়গায় হিংসা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তোলেন পীরজাদা। দাবি করেন, দেগঙ্গার কদম্বগাছিতে হাসানুজ্জামান নামক এক আইএসএফ কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। রাজ্যে করোনা অতি মহামারির জেরে যে ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানুষকে দিন কাটাতে হচ্ছে, তার মধ্যেও এমনটা কেন চলবে? প্রশ্ন আব্বাসের।
আরও পড়ুন: ‘দিদি’র শপথে আমন্ত্রিত ‘দাদা’, দিলীপ-বিমান এবং পিকে-র নামও তালিকায়
এর পাশাপাশি কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরও ধরা পড়েছে আব্বাসের কণ্ঠে। হিংসার ঘটনা চলতে থাকলে বিরোধীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করলে সেটা মোটেও নতুন সরকারের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করবেন না, এমনটাই মত আব্বাসের। তাঁর কথায়, “এই অতিমারি পরিস্থিতিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আমার ধারণা। আমি সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়-সহ প্রশাসন আধিকারিকদেরও বিষয়টির উপর নজর দেওয়া এবং সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির পরিবেশ গড়তে আহ্বান জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুনর্গণনা হচ্ছে না, সমস্যা থাকলে আদালতে যেতে বলল কমিশন