High Court on Primary Recruitment: প্রাথমিকে শূন্যপদের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি! বোর্ডের প্রেসিডেন্টকে মামলাকারীর সঙ্গে বসার নির্দেশ
Primary Recruitment: মামলাকারীর দাবি তিনি আরটিআই করে যে তথ্য পেয়েছেন, তার সঙ্গে বোর্ডের দেওয়া তথ্যের কোনও মিল নেই।
কলকাতা : নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। প্রাথমিক থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন, সব ক্ষেত্রেই সামনে এসেছে বেনিয়মের অভিযোগ। আর এবার শূন্যপদ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে উঠল প্রশ্ন। রাজ্যে প্রাথমিকে ঠিক কত শূন্যপদ রয়েছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আরটিআই করে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে প্রাথমিক বোর্ডের দেওয়া তথ্যের মিল নেই বলে অভিযোগ। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বোর্ডের প্রেসিডেন্টকে মামলাকারীর সঙ্গে বসতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চান তিনি।
নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ২০২০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পর আর কত পদ খালি রয়েছে। সে বছর প্রায় ১৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মামলাকারী জানান, আরটিআই করে জানা গিয়েছে, এখনও ৬ হাজার ২৪ টি পদ খালি আছে। চাকরি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৬০ জন। কিন্তু প্রাথমিক বোর্ডের তরফে আদালতে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, শূন্যপদের সংখ্যা ১ হাজার ১১৪। এ দিনের শুনানিতে বোর্ডের আইনজীবী জানান, তাঁদের কাছে ১ হাজার ১১৪ টি শূন্যপদেরই তথ্য রয়েছে, এটাই সঠিক তথ্য।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, বোর্ডের তথ্য আলাদা কেন? ঠিক কত পদ শূন্যপদ রয়েছে, সেই তথ্য পেশ করার জন্য বোর্ডের প্রেসিডেন্টকে মামলাকারীর সঙ্গে বসার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তথ্য জানাতে হবে আদালতে।
শুধু প্রাথমিক নয়, অন্য়ান্য় ক্ষেত্রেও শূন্যপদ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কত পদ খালি রয়েছে, তা আগেই জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বা উচ্চ মাধ্যমিক সব ক্ষেত্রেই শূন্যপদ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিলেন বিচারপতি।
রাজ্য সরকার অবশ্য বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে, আদালতে মামলা চলছে বলেই নিয়োগ করা যাচ্ছে না। সার্ভার রুম তদন্তকারী সংস্থার হাতে থাকায় নিয়োগে অসুবিধা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। সেই তথ্য ঠিক কি না, তাও যাচাই করে দেখার কথা বলেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় উল্লেখ করেছিলেন, যদি সত্যিই মামলার জন্য নিয়োগ আটকে থাকে, তাহলে বিষটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।