Fraud Case : কেঁচো খুঁড়তে কেউটে, কৌশিকের অ্যাকাউন্টে ঢুঁ মারতেই প্রায় ৩৩ কোটির হদিশ
Fraud Case : এই ঘটনার তদন্তে নেমে বিধান নগর সাইবার শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা শুক্রবার রাতে টেগর পার্ক থেকে কৌশিক পালকে গ্রেফতার করে।
কলকাতা : বিমার নামে প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কৌশিক পালের ব্যাঙ্ক লেনদেন খতিয়ে দেখতে গিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের চক্ষু চড়ক গাছ। ৩২ কোটি ৮১ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
বিমার প্রিমিয়াম ডিঅ্যাক্টিভ করতে মেসেজ বক্সে এল লিঙ্ক। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করতে ৪০৯৪০ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশ কসবার টেগর পার্ক থেকে কৌশিক পালকে গ্রেফতার করে। এদিন তাঁকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, সল্টলেকের ডি এ এর বাসিন্দা রতনলাল আগারওয়ালের অভিযোগ, বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ডিঅ্যাক্টিভেট করতে হবে। গত বছর এই মর্মে তাঁর কাছে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। আসে একটি মেসেজেও। লিঙ্কটিতে ক্লিক করতেই ৪০৯৪০ টাকা উধাও হয়ে যায়। গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর এই অভিযোগ করেন তিনি রতনলাল। তদন্তে নামে পুলিশ।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বিধান নগর সাইবার শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা শুক্রবার রাতে টেগর পার্ক থেকে কৌশিক পালকে গ্রেফতার করে। তাঁর কারেন্ট অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হদিশ মিলতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। দেখা যায় ওই অ্য়াকাউন্টে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। টাকার আয়ের উৎস কোথায়? যাবতীয় তথ্য পেতে কৌশিক পালকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রতারণারমূলক কাজের জন্যই খোলা হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্ট। এই ঘটনায় আগে একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার গ্রেফতার কৌশক। তবে তাঁদের সঙ্গে আর কোনও ব্যক্তির যোগ আছে কি না, নেপথ্যে কোনও চক্র আছে কি না সে বিষয়ে জোরকদমে তদন্ত চলাচ্ছে পুলিশ।